[১]করোনার প্রাদুর্ভাবে নৌযান চলাচল সীমিত থাকায় দৌলতদিয়া পাটুরিয়া ঘাটে বিআইডব্লিউটিসির আয় কমেছে ৬৬ শতাংশ
দেশ রূপান্তর অনলাইন : [২] অন্য সময়ে এই ঘাট থেকে দৈনিক প্রায় ৭০ লাখ টাকা আয় হলেও এখন তিন ভাগের একভাগে নেমে এসেছে। সংস্থার দুজন কর্মী করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ায় ঝুঁকিতে রয়েছেন অন্যরাও। একই সঙ্গে বেকার হয়ে পড়েছেন ঘাট সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন খাবারের দোকান, হকার ও ফেরিওয়ালারা। [৩] বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট কাযালয়ের ব্যবস্থাপক মো. আবু আব্দুল্লাহ রনি বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথের শুধু দৌলতদিয়া প্রান্ত থেকেই দৈনিক গড়ে ৩৩ লাখ টাকার রাজস্ব আয় হতো। এখন সেটা কমে দাড়িয়েছে মাত্র ১০ থেকে ১১ লাখ টাকায়। পাটুরিয়া ঘাট থেকেও এ রকম পরিমাণ অর্থ আয় হতো সংস্থাটির।
[৪] তিনি আরও বলেন, সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর থেকে ফেরি চলাচলও সীমিত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে আমাদের দুজন স্টাফ করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে। এতে সকল স্টাফদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। আমরা নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে দায়িত্ব পালন করছি।
[৫] সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের জেলাগুলোর যোগাযোগের অন্যতম দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌপথের উভয়ঘাট দিয়ে প্রতিদিন ৬ হাজারের বেশি যানবাহন নদী পারাপার হয়।
[৬] এক মাসে প্রায় ১৫ কোটি টাকার রাজস্ব আয় কম হয়েছে। এই নৌপথে নিয়মিত ১৬টি ফেরিতে যানবাহন পারাপার করা হলেও বর্তমানে দুটি রো রো ও ৩টি ইউটিলিটি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।
বাকিগুলো বসে রয়েছে। গ্রন্থনা : সিরাজুল ইসলাম।