[১]জনসমাগম বাড়ায় রাজধানীতে বাড়ছে করোনাঝুঁকিও
বাংলানিউজ : [২] বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও গার্মেন্টস খুলে দেওয়ায় এ জনসমাগম বেড়েছে। মানুষের ঠাসাঠাসি কাঁচা বাজারেও। এতে করে করোনা ঝুঁকিও বাড়ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
[৩] বুধবার রাজধানীতে এমন চিত্র দেখা যায়। শুধু গণপরিবহন ছাড়া সড়কে সবধরনের গাড়িই চলছে। প্রধান সড়কগুলোতে ব্যক্তিগত গাড়ির পাশাপাশি রিকশারও আধিপত্য। লেগুনায়ও যাত্রী পরিবহন করছে। এতে মে মাসে করোনা ভাইরাস ব্যাপকহারে সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
[৪] বুধবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরা, বনানী, বিজয় সরণী, কুড়িল বিশ্বরোড, নতুন বাজার, রামপুরা, মগবাজার ও মতিঝিল এলাকায় দেখা যায়, কোনো কোনো সিগন্যালে মৃদু যানজট। সড়কে গাড়ির চাপ। ফুটপাতেও মানুষের ভিড়। শারীরিক দূরত্বের প্রতি কারও কোনো মনযোগ নেই। [৫] বনানী কাঁচা বাজার ও নতুন বাজারসহ কয়েকটি বাজারে মানুষের প্রচুর ভিড়। শারীরিক দূরত্ব বজায়ের কোনো সুযোগই নেই বাজারগুলোতে। [৬] পথচারী আকিব বলছিলেন, তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। করোনা আতঙ্কের মধ্যেও তাদের অফিস খুলেছে। তাই বাধ্য হয়ে আতঙ্ক ও ভয় নিয়েই অফিসে যেতে হচ্ছে।
[৭] আরেক পথচারী সিয়াম বলেন, একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় চাকরি করি। অফিসের জরুরি কাজে বের হতে হয়েছে।
[৮] নতুন বাজারে বাজার করতে এসেছেন ভাটারা মোড়ের বাসিন্দা সাইফুল আলম। তিনি বলেন, ব্যাচেলর মানুষ, বাসায় ফ্রিজ নেই। তাই ঘনঘন বাজার করতে হয়। এখানে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে বাজার করার কোনো সুযোগই নেই, তাই মনের মধ্যে সবসময় একটা ভয় ও আতঙ্ক কাজ করে। তারপরও বের হতে হয় পেটের তাগিদে। [৯] বনানী কাঁচা বাজারের মাছ ব্যবসায়ী ছুরত আলী বলেন, মানুষ শারীরিক দূরত্ব মানে না, সচেতনতার অভাব রয়েছে।