[১]প্রকৃতি সেজেছে লাল কৃষ্ণচূড়ায়
জাগোনিউজ : [২] বাংলাদেশের প্রকৃতিতে শিমুল মানেই বসন্ত। তেমনই গ্রীষ্মকালের বাহার কৃষ্ণচূড়া ফুল। রাস্তার মোড়ে মোড়ে কৃষ্ণচূড়ার মনকাড়া গাছ। সবুজ সবুজ চিকন পাতা। ফাঁকে ফাঁকে লাল লাল কৃষ্ণচূড়া ফুল। দেখলেই যেন চোখ জুড়িয়ে যায়। মন নেচে ওঠে আনন্দে।
[৩] কৃষ্ণচূড়া একটি বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদ। যার বৈজ্ঞানিক নাম ডেলোনিক্স রেজিয়া। এ গাছ চমৎকার পত্রপল্লব এবং আগুনলাল কৃষ্ণচূড়া ফুলের জন্য বিখ্যাত। এটি ফ্যাবেসি পরিবারের অন্তর্গত একটি গাছ, যা গুলমোহর নামেও পরিচিত।
[৪] কৃষ্ণচূড়ার ফাঁক গলিয়ে যদি ঘুঘু-শালিক ওড়াউড়ি করে। তাহলে কেমন হয়। যদি বৈশাখের কৃষ্ণচূড়ার পাতা-ফুল, কালবৈশাখী মেঘ ও চঞ্চল ঘুঘু মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। তাহলে দৃশ্যটিই মনে হবে স্বপ্নের মতো। এমনকি কৃষ্ণচূড়ার লাল, কমলা, হলুদ ফুল এবং উজ্জ্বল সবুজ পাতা একে অন্যরকম দৃষ্টিনন্দন করে।
[৫] কৃষ্ণচূড়া মাদাগাস্কারের শুষ্ক পাতাঝরা গাছের জঙ্গলে পাওয়া যায়। যদিও জঙ্গলে এটি বিলুপ্ত প্রায়। তবে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে এটি জন্মানো সম্ভব হয়েছে। সৌন্দর্যবর্ধক গুণ ছাড়াও এ গাছ ছায়া দিতে বিশেষ উপযুক্ত। উচ্চতায় সর্বোচ্চ ১২ মিটার হলেও শাখা-পল্লবে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
[৬] গ্রীষ্মকালে কৃষ্ণচূড়ার পাতা ঝরে গেলেও নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে এটি চিরসবুজ। বাংলাদেশের শহর কিংবা গ্রামে কৃষ্ণচূড়ার গাছে ঝলমলে রক্তিম ফুল ফুটে আছে। কিছু ফুল ঝরে পড়ে মাঝেমাঝে। কালবোশেখির কালোমেঘের মধ্যেও উঁকি দেয় টকটকে লাল কৃষ্ণচূড়া ফুল। আপেল মাহমুদ