[১]তথ্য গোপন করায় ইন্দোনেশিয়ায় ভয়াবহ রূপ নিল করোনা
সময়টিভি অনলাইন : [২]ইন্দোনেশিয়ায় মার্চের আগ পর্যন্ত করোনা রোগীর সংখ্যা শূন্য থাকলেও হঠাৎ করেই ভয়াবহ রূপ নেয় কোভিড নাইনটিন। মাত্র এক মাসের মধ্যে সাড়ে ৯ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছে সাড়ে সাত শতাধিক।
[৩]শুরু থেকে ভাইরাস প্রতিরোধে যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়া ও তথ্য গোপন করায় এটি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। তবে সংক্রমণের বিস্তার ঠেকাতে ইন্দোনেশিয়া সরকার বর্তমানে বেশ তৎপর রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
[৪]গেল ২রা মার্চ জাপানি এক নাগরিকের মাধ্যমে নাচের এক শিক্ষক ও তার মায়ের প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্তের কথা জানায় ইন্দোনেশিয়া। এর ঠিক এক মাসের মধ্যে গোরোন্তালোসহ সব প্রদেশে ছড়িয়ে পড়ে কোভিড নাইন্টিন। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে রাজধানী জাকার্তা, ওয়েস্ট এবং ইস্ট জাভা প্রদেশ।
[৫]বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশটিতে করোনাভাইরাস আরো অনেক আগেই আঘাত হানে। পর্যাপ্ত টেস্ট না করানো এবং তথ্য গোপন করার কারণেই করোনা পরিস্থিতি মারাত্মক রূপ নিয়েছে। এ অবস্থায় করোনা নিয়ন্ত্রণে নড়েচড়ে বসেছে ইন্দোনেশিয়ার সরকার। শপিংমলগুলো নিয়মিত জীবাণুমুক্তকরণের পাশাপাশি স্বাস্থ্য খাতে জোর দেয়া হয়েছে। করোনা প্রতিরোধে এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে ভ্রমণ নিষেধজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
[৬]ইন্দোনেশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি সোলাইমান সুজন বলেন, লকডাউন ঘোষণা করা না হলেও এখন প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাসা থেকে বের হচ্ছে না। ইন্দোনেশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি জাহিদুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্য খাতে জোর দেয়া হয়েছে। হাসপাতালে যেকোনো সময় টেস্ট করা যাবে। লকডাউন ঘোষণা করা না হলেও পবিত্র রমজান মাসে ঘরেই নামাজ আদায় করছেন বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এই দেশটির মানুষ। কেএম নাহিদ