[১]কোভিড-১৯ : এক মাসে ৪৬০ কোটি টাকার চিংড়ি ক্রয়াদেশ বাতিল
বাংলানিউজ : [২] করোনাভাইরাসের প্রভাবে সারা পৃথিবী থমকে আছে। সেই সঙ্গে থেমে আছে বৈশ্বিক অর্থনীতির চাকা। অন্য সব খাতের মতো দেশের মাছ রফতানিতে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। গত এক মাসে ইউরোপের জার্মানি, ইতালি, রাশিয়া, জাপানসহ বিভিন্ন দেশ ২৯০টি ক্রয়াদেশ বাতিল করেছে। ফলে এ শিল্পে দেখা দিয়েছেন চরম সঙ্কট।
[৩] মৎস অধিদপ্তর সূত্র জানায়, অর্ডার বাতিল হওয়া ২৯০টা কন্টেইনারে রফতানি আয় হতো ৪৬০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৯৮ শতাংশই গলদা, বাগদা ও হরিণা চিংড়ি। বাকি ২ শতাংশ অন্যান্য সাদা মাছ। এর মধ্যে ভেটকি, কাতলাসহ অন্যান্য মাছ রয়েছে।
[৪] মৎস অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. রমজান আলী বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রভাবে মাছের ২৯০টা কন্টেইনারের অর্ডার বাতিল হয়েছে। করোনার পর ফের সব কিছু স্বাভাবিক হবে আশা করছি।
[৫] পৃথিবীর অর্ধশতাধিক দেশে মৎস্য ও মৎস্যজাতপণ্য রফতানি করে বাংলাদেশ। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান, রাশিয়া ইত্যাদি বাংলাদেশের মৎস্য ও মৎস্যপণ্যের প্রধান আমদানিকারক দেশ। সর্বশেষ বাংলাদেশ হতে বিভিন্ন দেশে প্রায় ৬৮ হাজার ৬৫৫ মেট্টিক টন মৎস্য ও মৎস্য পণ্য রফতানি করে প্রায় তিন হাজার ৮৪৫ কোটি টাকা রাজস্ব অর্জিত হয়েছে। করোনা ভাইরাসের প্রভাবে মাছ থেকে রাজস্ব আয় কমার পাশাপাশি রফতানি আয় হারাচ্ছে বাংলাদেশ।
[৬] মাছের ফেলে দেওয়া অংশগুলো রফতানি করেও বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে বাংলাদেশ। এসব দিয়ে স্যুপ তৈরি হয় এবং পূর্ব এশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এই স্যুপের চাহিদা ব্যাপক। চিংড়ির মাথা ও খোসা, কাঁকড়ার খোলস, হাঙরের লেজ-ডানা-চামড়া, মাছের বায়ু থলি, পিত্ত ও চর্বি, কার্প জাতীয় মাছের আঁশসহ বিভিন্ন পণ্য বাংলাদেশ থেকে রফতানি হয়। ইতালি, জাপান, কোরিয়া, চীন, জার্মানি, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, হংকংসহ বিভিন্ন দেশে এসব পণ্য রফতানি হয়। এসব দেশ করোনার আঘাতে বিপর্যস্ত, ফলে রফতানিও বন্ধ। গ্রন্থনা : সিরাজুল ইসলাম।