[১]করোনা মোকাবেলায় বিশ্বজুড়ে সফল নারী রাষ্ট্রপ্রধানরা
চ্যানেল ২৪ : [২]বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনা মোকাবেলায় সফলতা পাচ্ছেন নারী রাষ্ট্রপ্রধানরা। জার্মানি থেকে নিউজিল্যান্ড, ডেনমার্ক থেকে তাইওয়ান- নারী নেতারা করোনা পরিস্থিতি সামলাচ্ছেন শক্ত হাতে। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের নেতৃত্ব পুরুষের হাতে থাকলেও, করোনা মোকাবিলায় নারীদের চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে তারা। [৩]এপ্রিলের শুরুতেই দ্বীপ রাষ্ট্র সেন্ট মার্টিনের নাগরিকদের, এবাবেই ঘর থেকে বের না হওয়ার নির্দেশ দেন, প্রধানমন্ত্রী সিলিভিরিয়া জ্যাকবস। ৪১ হাজার মানুষের দেশটিতে প্রতিবছর ৫ লাখের বেশি পর্যটক যান। তাই ঝুকিই ছিল বেশি। তবে নারী নেতার শক্ত অবস্থানে এখন ভালোভাবেই করোনা মোকাবেলা করছে দেশটি।
[৪]মার্চের শুরুতেই নিউজিল্যান্ডে ঢোকা বিদেশিদের ১৪ দিনের কোয়ারিন্টিন নিশ্চিত করেন প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্ডান। পরে দুই সপ্তাহ লকডাউন। এই সময়ে দেরশোর বেশি বাড়েনি আক্রান্তের সংখ্যা । এরপর থেকেই দেশটির মানুষ মেনে চলছেন আর্ডানের সব নির্দেশনা। জরিপ বলছে, দেশটির জনগন সরকার থেকে ৮০ শতাংশ বেশি ভরসা রাখে আর্ডানের উপর। [৫]ইউরোপের করোনার প্রকোপের শুরুর দিকে, আক্রান্তের হিসেবে উপরের দিকেই ছিল জামার্নি। তবে বেশি বেশি পরীক্ষা ও চিকিৎসার ব্যাবস্থা করে, মৃত্যু হার কমাতে অসাধারণ পারদর্শিতা দেখিয়েছেন চ্যান্সেলর আ্যাঙ্গেলা মের্কেল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রেখে জনগনের আস্থা রক্ষা করেছেন তিনি। স্ক্যানডেনেভিয়ান দেশ ডেনমার্ক। মার্চের ১৩ তারিখেই বন্ধ করে দেয় সীমান্ত। কিছু দিনের মধ্যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষনা দেন, প্রধানমন্ত্রী মেত্তে ফ্রেদারিকসেন। জনগনকে ঘরে রাখতে নিজের বাসন মাজার ভিডিও ফেইসবুকে পোস্ট করেছেন। জনগনকে পাশে নিয়ে সফলভাবেই এগুচ্ছেন স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোর সবচেয়ে কমবয়সী এই প্রধানমন্ত্রী। [৬]বিশ্বের সবচেয়ে কমবয়সী রাষ্ট্রপ্রধান ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন। দেশটিতে লক্ডাউন ও বিধিনিষেধ কড়াকড়ি ভাবে বাস্তবায়ন করিয়েছেন তিনি। ফল পেয়েছেন হাতেনাতে। প্রতিবেশি দেশ সুইডেন থেকে আক্রান্ত ও প্রাণহানি ১০ ভাগ কম ফিনল্যান্ডে। করোনা নিয়ন্ত্রনে রখতে পারায় প্রশংসিত হয়েছেন তইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন, নরওয়ে প্রধানমন্ত্রী এমা সলবার্গ এবং আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্যাট্রিন জ্যকবডটির।
[৭]বিশ্বের অধিকাংশ দেশের রাষ্ট্রপ্রধান অথবা সরকার প্রধান পুরুষ। তবে করোনা মোকাবেলায় ভিয়েতনাম, চেকপ্রজাতন্ত্র, গ্রিস আর অস্ট্রেলিয়ার বাইরে, তাদের হাত ধরে এখনো খুব বেশি সফলতা আসেনি।