[১]আম বাজারজাত করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রাজশাহীর চাষিরা
বাংলা ট্রিবিউন : [২]১৫ মে থেকে বাজারে আসবে রাজশাহীর আম। গাছে গাছে ক্রমশ বড় হয়ে উঠছে আম। কিন্তু পরিবহন বন্ধ থাকায় চাষি ও ব্যবসায়ীদের এই আম বাজারজাত করা নিয়ে দুশ্চিন্তাও বাড়ছে। কারণ, আমকে পচন থেকে রক্ষায় রাজশাহীতে দীর্ঘমেয়াদে সংরক্ষণের কোনও ব্যবস্থা নেই। [৩]তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর ও জেলা প্রশাসনের ভাষ্য, পরিস্থিতি মোকাবিলা করে এবারও আমের বাজারে রাজশাহী অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে। দুশ্চিন্তার কারণ নেই। চাষি ও ব্যবসায়ীদের সব রকম সহযোগিতা করা হবে। এবার রোজার পরেই রাজশাহীর আমের বাজার জমজমাট হয়ে উঠবে। আবহাওয়া ও বাজারজাতকরণ পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে এই মৌসুমে ৭৩৫ কোটি টাকার আম বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে।
[৪]রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শামসুল হক জানান, এবার রাজশাহীতে ১৭ হাজার ৫৭৩ হেক্টর জমিতে আমের চাষ করা হয়েছে। এবার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে দুই লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন। ফলন অনুযায়ী গড়ে ৩৫ টাকা কেজি দরে লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ৭৩৫ কোটি টাকার আম বিক্রি করার সম্ভাবনা রয়েছে।
[৫]রাজশাহীর নগরীর শালবাগান এলাকার ফল ব্যবসায়ী মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘ঈদের ছয়-সাত দিন আগে গোপালভোগ আম গাছ থেকে নামিয়ে বাজারে নিয়ে আসতে পারবো। তবে লকডাউনের এই পরিস্থিতিতে যদি ঢাকা থেকে অর্ডার না পাই তাহলে সেই আম রোজার পরেই নামাবো। এবার পরিস্থিতি নিয়ে একটু ভয়েই আছি। পরিবহন সমস্যা হলে আম নিয়ে বিপদে পড়ে যাবো।
[৬]রাজশাহী জেলার সবচেয়ে বেশি আম কেনাবেচা হয় পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর হাটে। বানেশ্বর বাজারের আলমগীর হোসেন নামে এক আড়তদার বলেন, ‘আড়তের পাশাপাশি আমরা কয়েকজন ব্যবসায়ী মিলে বাগান থেকে আম কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে চাহিদা মোতাবেক সরবরাহ করি। এ বছর আমাদের প্রায় ৭৫ বিঘা আমবাগান কেনা আছে। করোনার কারণে এবার আমের বাজার কী হবে বলা মুশকিল।
[৮]রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শামসুল হক বলেন, ‘আমের বাজারজাতকরণ নিয়ে জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। অন্য জেলায় আম পরিবহনে ট্রাকসহ অন্য বাহন নিয়ে যেতে ব্যবসায়ীরা যাতে হয়রানির শিকার না হয়, সেই সঙ্গে বাগান থেকে বাজারে কিংবা আড়তে আম নির্বিঘেœ নিয়ে আসতে পারেন চাষিরা, সেদিকটায় লক্ষ রাখার জন্য বলা হয়েছে। এজন্য তারা সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। কেএম নাহিদ