[১]করোনায় রেমিটেন্স হ্রাস পাবে মনে করা হলেও গত মাসে রেমিটেন্স বেড়েছে
বিশ্বজিৎ দত্ত : [২] সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী জানান, সোনালী ব্যাংকে গত এপ্রিল মাসে ৭০ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছে। এটি গত বছরের এই সময়ের চেয়ে কিছুটা বেশি। ব্যাংকগুলোর মধ্যে সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমেই সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স আসে।
[৩] বৃদ্ধির কারণ হিসাবে বলেন, প্রবাসী যারা রেমিটেন্স পাঠান তারা বেশির ভাগই খেটে খাওয়া মানুষ। ঈদে পরিবারের লোকজনদের এই সংকটে কিছু অর্থ পাঠাতে পারবো না। এটা তারা মনে করে না। একবেলা না খেয়ে হলেও তারা কিছু অর্থ পাঠান।
[৪] তা ছাড়া করোনায় ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ পাঠানো বেড়েছে। হুন্ডি করে টাকা পাঠাতে কিছু ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান আছে। করোনায় তারা বিদেশে ও দেশে ঘরবন্দি। প্রবাসীরাও ভাবছে এই মুহূর্তে হুন্ডিতে টাকা পাঠালে মার যাওয়ার সম্ভাবনা। অন্যদিকে ব্যাংকের টাকায় সঙ্গে সঙ্গে ২ শতাংশ প্রণোদনা পাওয়া যায়। তাই হুন্ডির অর্থও রেমিটেন্সে প্রবেশ করছে।
[৫] তবে ঈদের পরে কি হবে এটা বলা যাচ্ছে না। অনেক প্রবাসী দেশে ফেরত আসতে পারে। আবার ছোট ছোট কাজ বিশেষ করে ক্লিনিং, দ্কোানপাটে বসা, বাগানের কাজ, দারোয়ানের কাজ ড্রাইভার এসব বাড়তেও পারে। কারণ মধ্যপ্রাচ্যে অনেক ছোট কাজই এখন ঘরে বসে করতে চাইবে অনেকে।