[১]বিদেশ ফেরত শ্রমিকদের ঋণ ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পুনরায় পাঠানর ব্যবস্থা হচ্ছে
প্রিয়াংকা আচার্য্য : [২] বিতরণ ও আদায় পদ্ধতি নিয়ে বিশ্লেষকদের প্রশ্ন থাকলেও করোনায় প্রবাস ফেরতদের জন্য ঋণের নীতিমালা প্রায় চূড়ান্ত হতে চলেছে।
[৩] করোনার প্রভাবে এখন পর্যন্ত দেশে ফিরেছেন প্রায় এক লাখ কর্মী। আরও অনেক শ্রমিক ফেরত আসার আশংকা রয়েছে। তাদের যেন দীর্ঘদিন বেকার থাকতে না হয় এজন্য দুই ধরনের পরিকল্পনা করছে শ্রম ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
[৪] প্রথমটি হলোÑপ্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণ প্রদান করে তাদের অর্থনৈতিকভাবে সচল রাখা। দ্বিতীয়টি- তাদের বিশেষ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ শ্রমিক হিসেবে তৈরি করে পুনরায় বিদেশে পাঠানো।
[৫] শ্রম ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, করোনার ফলে যেসব শ্রমিক বিদেশ গিয়ে মারা গেছেন তাদের পরিবারের জন্য আমরা সহজ শর্তে এক থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ সুবিধা দেয়া হবে। এটা হবে একটা ইনভেস্টমেন্ট প্রজেক্ট। [৬] সরকারের তরফ থেকে ৫শ কোটি টাকার আরেকটি তহবিল দেয়া হচ্ছে। শ্রমিকদের অবশ্যই বৈধতার সনদ দেখাতে হবে। এক্ষেত্রে যারা বৈধভাবে যাননি কিন্তু বৈধভাবে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন তাদেরও এই সুবিধা দেয়া হবে।
[৭] যারা ফেরত এসেছেন তাদের রি-ট্রেনিং, রি-স্কিলিংয়ের মাধ্যমে আবার ফেরত পাঠানোর ব্যাবস্থাও করা হবে। [৮] তিনি আরও জানান, বর্তমানে ফেরত আসা শ্রমিকদের বিমানবন্দরে ৫ হাজার টাকা করে দেয়া হচ্ছে তা শুধু এই করোনাকালীন বিশেষ পরিস্থিতির জন্য। এটি সবসময়ের জন্য না। [৯] তবে অতীত অভিজ্ঞতা সুখকর নয় প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের। যারা ঋণ নিয়েছেন তাদের অনেকেই ব্যবসা করে সফল হতে পারেনি। অনেকে টাকা ফেরত দেননি। ফলে দেনা বেড়েছে ব্যাংকের। তাই ব্যাংকের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ বিশ্লেশসকদের।
[১০] রামরুর চেয়ারম্যান ড. তাসমি সিদ্দিকী বলেন, এই ঋণ নেয়ার জন্য যে ৪ শতাংশ সুদ ধরা হয়েছে সেটা কিন্তু যুক্তি সম্মত নয়। এরকম একটা ব্যবসা চালিয়ে নেয়ার জন্য অভিবাসীদের নানা ধরনের ব্যবসায়িক পরামর্শ ও সার্ভিসের প্রয়োজন। সুতরাং এটাকে সামগ্রিক একটা প্রকল্প হিসেবে না নিলে কার্যক্রমটি সফল হবে না। সূত্র : বাংলাভিশন