মো.নুরুল ইসলাম খান -এর ১ম মৃত্যু বার্ষিকী আজ
জন্ম হলে মৃত্যু হবে এটাই জাগতিক নিয়ম। তবে সব মানুষের জন্ম অথবা মৃত্যুর তাৎপর্য একরকম নয়। এমন কিছু মৃত্যু আছে যাদের শারীরিক অনুপস্থিতি ঘটলেও সমাজ ও সামাজিক অঙ্গনে অমর হয়ে থাকেন চিরকাল।এমনই একজন ব্যক্তিত্ব মরহুম মো. নুরুল ইসলাম খান দফাদার। আজ তাঁর ১ম মৃত্য বার্ষিকী।গত বছর এই দিনে তিনি ইন্তেকাল করেন। নিয়ামতি ইউনিয়নের গর্ব, মরহুম মো.নুরুল ইসলাম খান পেশাগত জীবনে ১৪নংনিয়ামতি ইউনিয়নের একজন সফল দফাদার ছিলেন।বাংলাদেশ গ্রাম পুলিশ কর্মচারী ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা ভাইস প্রেসিডেন্ট।চামটা চালিতাতলা বাজার জামে মসজিদ কমিটির উপদেষ্টা এবংপূর্ব মহেশপুর মোল্লারহাট জামে মসজিদ এবং মোল্লারহাট এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। তিনি সরকারি চাকরি করলেও রাজনীতি সচেতন ব্যক্তিত্ব ছিলেন; জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করতেন।মনেপ্রাণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অনুসারী ছিলেন। বাঙ্গালীর সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ।মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে তিনি সরাসরি অংশগ্রহণ করতে না পারলেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাক হায়েনাদের থাবা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দিয়েছেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের আশ্রয় দিয়ে সাহায্য সহযোগিতা করেছেন। মরহুম নুরুল ইসলাম খান;এলাকার বিচার ও সালিশী ব্যবস্থায়ও ছিলেন অগ্রগণ্য ব্যক্তিত্ব।এলাকার মানুষ কখনো কোনো সমস্যায় পড়লে তাঁর কাছে আসতেন সাধ্যমত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করতেন। মানুষদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করতেন; বিপদ-আপদে তাদেরকে আগলে রাখতেন।এ কারণে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য ও শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি।এলাকার বাইরেও তাঁর সালিশী বিচার ব্যবস্থার ব্যাপক সুনাম ছিলো। সুদূরপ্রসারী চিন্তা চেতনার অধিকারী মরহুম মো. নুরুল ইসলাম খান একজন পরোপকারী মানুষ ছিলেন।মানুষের কল্যাণে সারাটা জীবন উৎসর্গ করেছেন।অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন।এ কারণে তাকে অনেক ষড়যন্ত্র ও প্রতিকুল অবস্থা মোকাবিলা করতে হয়েছে।তিনি সবসময় অপ্রিয় সত্য কথা বলতেন।সত্য কথা বলার ব্যাপারে তিনি ছিলেন আপোষহীন।তিনি যা বিশ্বাস করতেন তাই বলতেন।ভয়ভীতি তাঁর মধ্যে ছিলো না।তাঁর ন্যায়পরায়ণতার কারণে বাকেরগঞ্জ উপজেলার প্রথিতযশা ব্যক্তিরা স্নেহ করতেন-ভালোবাসতেন, সম্মান করতেন এবং তাঁর কাছ থেকে বুদ্ধি-পরামর্শ নিতেন। প্রাজ্ঞ-অভিজ্ঞ এই মানুষটি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় খুব বেশিদূর যেতে পারেননি। তবে তাঁর মেধা, প্রজ্ঞা,সৎসাহস, কর্মের প্রতি একাগ্রতা দিয়ে জয় করেছেন অনেক কিছূ।পেয়েছেন সকল মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও সম্মান।