[১]করোনায় ব্যাংকনির্ভর প্রণোদনা থেকে বের হয়ে ব্যয় বৃদ্ধির বাজেটের সুপারিশ অর্থনীতিবিদদের
বিশ্বজিৎ দত্ত : [২] করোনাকালে সরকার প্রায় ৯৮ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছে। যা জিডিপির প্রায় সাড়ে ৩ শতাংশ। এই প্রণোদণার ৯৩ শতাংশই ব্যাংকনির্ভর বলে সিপিডি উল্লেখ করেছে। [৩] অর্থনীতিবিদ ড. তৌফিক আহমেদ মনে করেন, বাজারে যদি চাহিদা সৃষ্টি হয় তবে তো ব্যবসায়ীরা ঋণ নিবে। সুদ যত কমই হোক পরিশোধ তো করতে হবে। এখন যে অবস্থা তাতে মনে হয় না কেউ ঋণ নিবে। কারণ ব্যবসায়ীরা দেখে সামনে তার বিনিয়োগ উঠে আসবে কিনা। যারা করোনায় ভাল ব্যবসা করছেন। তারা ঋণ নিবে। কিন্তু যাদের ব্যবসা করোনায় মন্দা হয়েছে তারাতো নিবে না। সুতরাং প্রণোদনা প্যাকেজটি যত বলা হচ্ছে বাস্তবে কিন্তু ততটা নয়।
[৪] সিপিডির গবেষক ড. গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, আগামীতে যদি অর্থনীতিকে উজ্জিবীত করতে হয় তবে সরকারি ব্যয় বাড়াতে হবে। মানুষের হাতে নগদ দিতে হবে। প্রতি বছর কৃষিখাতের বরাদ্দের ৩০ থেকে ৪০ ভাগ ফেরত যায়। এবার তা ব্যয় করতে হবে। আগামীতে এসব খাতে আরও ব্যয় বাড়াতে হবে।
[৫] পরিকল্পনা কমিশনের সিনিয়র সদস্য শামসুল আলমও সরকারি ব্যয় বৃদ্ধির কথা বলেন। ১০ মাসে উন্নয়ন বরাদ্দের ছাড় হয়েছে মাত্র ৫০ শতাংশ। সরকারের ব্যয় ১ লাখ কোটি টাকা। বাকি ১ লাখ কোটি টাকা ব্যায় করতে পারেনি।
[৬] করোনায় ২৫০০ টাকা করে মাত্র ৫০ লাখ মানুষকে দেয়া হয়েছে। এছাড়া বিনামূল্যে ত্রাণ বিতরণ। এর বাইরে সরকারি যেসব ব্যয় করা হয়েছে, তা চলতি বছরের বাজেটে ঘোষিত সামাজিক নিরাপত্তা খাতের অর্থ।