[১]সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের আমানত ৫ হাজার ৪২৭ কোটি টাকা, কমেছে ভারত-পাকিস্তানিদেরও
মো. আখতারুজ্জামান : [২] আগের বছরের তুলনায় কমেছে মাত্র ১৩০ কোটি টাকা। কালো টাকার বিরুদ্ধে জোরালো অবস্থানে ভারত-পাকিস্তানসহ প্রতিবেশী সব দেশের সুইস ব্যাংকে আমানত অনেক কমেছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশিদের আমানত ছিল ৫৫৫৩ কোটি টাকা। সুইস কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বার্ষিক প্রতিবেদনে বৃহস্পতিবার এ তথ্য দেয়া হয়।
[৩] সুনির্দিষ্ট গ্রাহকের তথ্য না দিলেও, কয়েক বছর ধরে দেশভিত্তিক আমানতের পরিমাণ প্রকাশ করছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ডিসেম্বর ২০১৯ এ সুইজারল্যান্ডে বাংলাদেশিদের আমানত দাঁড়িয়েছে ৬০ কোটি ৩০ লাখ সুইস ফ্রাঁ; দেশি মুদ্রায় ৫ হাজার ৪২৭ কোটি টাকা। ঠিক এক বছর আগে, এ অঙ্ক ছিলো ৬১ কোটি ৭৭ লাখ ফ্রাঁ বা ৫ হাজার ৫৫৩ কোটি।
[৪] সুইস কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঘোষণা অনুযায়ী, কোনো বাংলাদেশি নাগরিকত্ব গোপন রেখে অর্থ জমা রেখে থাকলেÑওই টাকা এ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত নয়। গচ্ছিত রাখা স্বর্ণ বা মূল্যবান সামগ্রীর আর্থিক মূল্যমানও হিসাব করা হয়নি এই প্রতিবেদনে।
[৫] ধনীদের অর্থ গোপনে গচ্ছিত রাখার জন্য বহুযুগের খ্যাতি সুইজারল্যান্ডের। প্রায় দু’শ বছর ধরে এ ধরনের ব্যাংকিং সেবার কেন্দ্র ইউরোপের দেশটি। ৮০ লাখ মানুষের দেশে, ব্যাংকের সংখ্যা ২৪৬টি। গ্রাহকের নাম-পরিচয় গোপন রাখতে কঠোর তারা। ধারণা করা হয়, অবৈধ আয় ও কর ফাঁকি দিয়ে জমানো টাকা রাখা হয় সুইস ব্যাংকে। সম্পাদনা : রেজাউল