[১]সকলের জন্য এ বাজেট [২]বাস্তবায়নে দেশের সকল মানুষ এগিয়ে আসবে : সংসদে অর্থমন্ত্রী
বিশ্বজিৎ দত্ত ও সোহেল রহমান : [৩] আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বাজেট বাস্তবায়নযোগ্য নয়। এটি আকারে অনেক বড়। কিন্তু বাজেট বাস্তবায়নে আমরা আশাবাদী। [৪] তিনি বলেন, দেশের কাউকে বাজেট থেকে বাদ দেয়া হয়নি। দিতে পারলে বাজেটের আকার ছোট হতো, ছোট রাখা যেত বাজেট ঘাটতিও। ‘সত্য যে কঠিন, কঠিনেরে ভালবাসিলাম’।[৫] অর্থমন্ত্রী বলেন, ১১ বছরে আমাদের জিডিপির আকার বেড়েছে তিনগুণ। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক দেখিয়েছে, এ বছর বাংলাদেশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। আমাদের প্রক্ষেপণ ৮ দশমিক ২ শতাংশ। আমাদের কাছাকাছি তাদের প্রক্ষেপণ। করোনা পরিস্থিতিতে দেশের মানুষকে রক্ষা এবং ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে এ বাজেট প্রণীত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে স্বাস্থ্যখাতে ২৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে। [৬] তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শিকড় সন্ধানের নির্দেশনা দিয়েছিলেন। এটি হলো আমাদের কৃষি। কৃষিখাতই হতে পারে সামনে এগিয়ে যাওয়ার এক মৌলিক এলাকা। কৃষিখাতকে বাজেটে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এখনও শতকরা ৪০ ভাগের মত কর্মসংস্থান হয় কৃষিতে। আশা করি, নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে এ অঞ্চলে খাদ্যের যোগান দিতে সক্ষম হবো। গত ৫০ বছরে আমাদের খাদ্যশস্য উৎপাদন বেড়েছে প্রায় সাড়ে চারগুন, যা বিশ্বে একটি রেকর্ড। [৭] অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশটি বৈচিত্র্যপূর্ণ। এখনো অর্থনৈতিক এলাকার যে চালিকাশক্তিগুলো সম্পূর্ণ এক্সপান্ড করতে পারি নাই। এর জন্য দরকার অটোমেশন। [৮] সোমবার জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় সমাপনী বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব কথা বলেন। সম্পাদনা : রেজাউল