[১]সিসিটিভি ফুটেজে দুর্ঘটনা: মুহূর্তে তলিয়ে যায় লঞ্চটি
সুজন কৈরী : [২] লঞ্চ ডুবির ঘটনার পরই পন্টুনগুলোতে থাকা একটি ছোট সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া গেছে। সেখানে দেখা যায়, ৩৭ সেকেন্ডর ভিডিওটি অনুযায়ী সকাল ৯টা ১২ মিনিটে ঘটনাটি ঘটে। বড় লঞ্চ ‘ময়ূর-২’ ঘাট থেকে পেছনের দিকে যাচ্ছিল। আর ছোট লঞ্চটি মুন্সীগঞ্জ থেকে এসে ঘাটের দিকে যাচ্ছিল। হঠাৎই পেছনে যাওয়া ময়ূরের ধাক্কায় মুহূর্তেই উল্টে গিয়ে ডুবে যায় ঘাটের দিকে যেতে থাকা মর্নিং বার্ড লঞ্চটি।
[৩] এদিকে ডুবে যাওয়া লঞ্চ থেকে জীবীত উদ্ধার হওয়অ যাত্রী মো. মাসুদ জানান, ঘাটে ভিড়তে আমাদের বহনকারী মর্নিং বার্ড লঞ্চটি সোজা যাচ্ছিল। ওই সময় ময়ুর-২ লঞ্চটি বাঁকাভাবে যাত্রা শুরু করে আমাদের লঞ্চের মাঝ বরাবর সজোরে ধাক্কা দিলে সঙ্গে সঙ্গে লঞ্চটা কাত হয়ে ডুবে যায়। পুরোপুরি ডুবতে ১০ সেকেন্ডও সময় নেয়নি।
[৪] তিনি বলেন, ঘটনার সময় আমি কেবিনে ছিলাম। গ্লাস খুলে কোনোমতে বের হইছি। ভেতরে আমার আপন দুই মামা আফজাল শেখ ও বাচ্চু শেখ ছিলেন। তারা বের হতে পারেননি। তারা নিখোঁজ রয়েছেন।
[৫] পুরান ঢাকার ইসলামপুরের গুলশানআরা সিটিতে কাপড়ের ব্যবসা করা মাসুদ বলেন, প্রতিদিন তিনি সকালে মুন্সিগঞ্জ থেকে ঢাকায় এসে দোকান করেন। রোববার ময়মনসিংহ থেকে তার দুই মামা তাদের মুন্সিগঞ্জের বাসায় বেড়াতে আসেন। তাদের নিয়ে সোমবার সকালে লঞ্চে করে ঢাকায় ফিরছিলেন।
[৬] তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনার পর লঞ্চে থাকা প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জনের মতো যাত্রী সাঁতরে পাড়ে উঠতে পেরেছে। [৭] বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক (বন্দর ও পরিবহন বিভাগ) একেএম আরিফ উদ্দিন বলেন, সিসি ক্যামেরায় দুর্ঘটনার বিষয়টি ধরা পড়েছে। সেটাতে দুর্ঘটনার বিষয়টি দেখা যাচ্ছে। তদন্তে এই বিষয়টি কাজে লাগাতে পারবেন তদন্ত কমিটি।