[১]করোনায় নেতিবাচক প্রভাবে ব্যাংকখাতে সঙ্কট বাড়ার আশঙ্কা
সোহেল রহমান [২] তবে আগামী বছর থেকে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করবে এমন পূর্বাভাস দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। [৩] সম্প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ফিন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট’-এ এমন পূর্বাভাস ব্যক্ত করা হয়েছে। [৪] করোনাজনিত কারণে বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবেÑউল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি মোকাবেলায় অর্থনীতি সচল করে তুলতে উদ্যোক্তাদেরকে আগামী আরও ছয় মাস সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে হবে। এর মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং শিল্পখাত ঘুরে দাঁড়াবে।
[৫] প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাজনিত কারণে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের চাহিদা ও এর মূল্য কমে গেছে এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। [৬] এর ফলে মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের কাছ থেকে রেমিটেন্স আসা কমে যেতে পারে।
[৭] প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, করোনায় দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ায় ব্যাংক]খাতে ঋণ গ্রহীতাদের সক্ষমতা কমেছে। ফলে ঋণ আদায়ে শিথিলতা এসেছে এবং ঋণের সুদের আয় থেকে ব্যাংকগুলো বঞ্চিত হচ্ছে। এতে ব্যাংকগুলোর আয় কমে যাবে। [৮] অন্যদিকে অর্থনীতি সচল করে তুলতে হলে ব্যাংকগুলোকে নতুন করে বেশি ঋণ বিতরণ করতে হবে। এর ফলে আগামীতে ব্যাংক খাতে সংকট বাড়তে পারে। যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে কম সুদে তহবিলের যোগান দেয়া এবং সুদ বাবদ ভর্তুকি দিয়ে ব্যাংকগুলোর ক্ষতি মেটানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সম্পাদনা : রেজাউল