[১]ভর্তুকি, প্রণোদনা ও নগদ ঋণখাতে ব্যয় বাড়ছে ৮,৬১৮ কোটি টাকা
সোহেল রহমান : [২] অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, আগামী বাজেটে এ তিন খাতে ব্যয়ের পরিমাণ ধরা হয়েছে ৫৬,০৫১ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে এ খাতে মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছিল ৪৭,৪৩৩ কোটি টাকা। তবে সংশোধিত বাজেটে এ খাতে ব্যয় কিছুটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮,৫৭৭ কোটি টাকা। [৩] সূত্রমতে, করোনাজনিত কারণে আগামী অর্থবছরে খাদ্য ও অন্যান্য খাতে ভর্তুকি বাড়ছে। খাদ্য খাতে নতুন অর্থবছরে ভর্তুকি বাবদ ব্যয় ধরা হয়েছে ৬,১৬৬ কোটি টাকা। চলতি বাজেটে এ খাতে বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ৪,৯৪৮ কোটি টাকা, এর বিপরীতে ব্যয় দেখানো হয়েছে ৪,৬৯২ কোটি টাকা।
[৪] নতুন বাজেটে অন্যান্য খাতে ভর্তুকির পরিমাণ ধরা হয়েছে ১৩,৫০০ কোটি টাকা। চলতি বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৯,৬০০ কোটি টাকা এবং এর বিপরীতে ব্যয় দেখানো হয়েছে ৯,০০০ কোটি টাকা। [৫] অন্যদিকে বিদ্যুৎখাতে ভর্তুকির পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকা কমিয়ে ৯,০০০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। [৬] প্রণোদনা খাতে শুধু কৃষিতে ৫০০ কোটি টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৯,৫০০ কোটি টাকা। চলতি মূল বাজেটে এ খাতে বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ৯,০০০ কোটি টাকা। এর বিপরীতে ব্যয় দেখানো হয়েছে ৮,০০০ কোটি টাকা। এছাড়া রপ্তানি-নগদ (৬,৮২৫ কোটি টাকা), পাটজাত দ্রব্য (৫০০ কোটি টাকা) ও রেমিট্যান্স খাতে (৩,০৬০ কোটি টাকা) প্রণোদনার বরাদ্দ অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। [৭] এছাড়া নগদ ঋণ খাতে বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ৭,৫০০ কোটি টাকা। চলতি মূল বাজেটে এ খাতে বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ৪,০০০ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে এটি দাঁড়িয়েছে ৬,০০০ কোটি টাকা। সম্পাদনা : শোভন দত্ত