[১]অর্থনৈতিক গুরুত্ব ও সংক্রমণ ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে অর্থনীতি চালু রাখার পরামর্শ
সোহেল রহমান : [২] সম্প্রতি একটি বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয়ের ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরায় চালু : ফ্রেমওয়ার্কের সন্ধানে’ শীর্ষক এক গবেষণায় এমন সুপারিশ করা হয়েছে। অর্থনৈতিক গুরুত্ব ও সংক্রমণের ঝুঁকি বিবেচনায় সার্বিক অর্থনৈতিক কর্মকা-কে চার ভাগে ভাগ করে তিনটি ধাপে সুনির্দিষ্ট গাইডলাইনের ভিত্তিতে সেগুলো চালুর পরামর্শ দেয়া হয়েছে। [৩] প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘অধিক গুরুত্ব ও অধিক ঝুঁকি’র আওতায় থাকা ‘অ্যালার্ট’ ক্যাটাগরিতে রয়েছে তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য রপ্তানিমুখী খাত, ব্যাংক, গণ পরিবহন, বাজার ও সেবা খাত। [৪] ‘অধিক গুরুত্ব ও কম ঝুঁকি’ বিবেচনায় ‘অ্যালাউ’ ক্যাটাগরিতে রয়েছে ফার্মাসিউটিক্যালস ও মুদি দোকান। [৫] ‘কম গুরুত্ব ও কম ঝুঁকি’ বিবেচনায় ‘অ্যাডভান্স’ ক্যাটাগরিতে রয়েছে অন-লাইন লার্নিং, ই-কমার্স, রিয়েল এস্টেট, বুটিক, বই ঘর, ইলেকট্রনিক্স ইত্যাদি খাত। [৬[ এছাড়া অর্থনৈতিকভাবে কম গুরুত্বপূর্ণ ও সংক্রমণের অধিক ঝুঁকি বিবেচনায় হোটেল, রেঁস্তোরা ও শপিং মলকে রাখা হয়েছে ‘অ্যাভয়েড’ ক্যাটাগরিতে। [৭] অর্থনীতি সচল রাখার স্বার্থে ‘অ্যাভয়েড’ খাত বাদ দিয়ে প্রাথমিকভাবে তিনটি ক্যাটাগরি চালুর পরামর্শ দিয়ে গবেষণায় বলা হয়েছে, সংক্রমণ ঠেকাতে ‘অ্যালার্ট’ ক্যাটাগরির জন্য সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন তৈরি ও এর কঠোর বাস্তবায়ন এবং সংক্রমণ ঠেকাতে যে কোনো ধরনের কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। সম্পাদনা : রেজাউল
[৮] সর্বশেষ ধাপ হচ্ছেÑকরোনা পরিস্থিতি কেটে যাওয়া কিংবা কোভিড-১৯-এর কার্যকর প্রতিষেধক বা টিকা মানুষের কাছে পৌঁছানোর পর। তখন সবকিছু স্বাভাবিকভাবে খুলে দেয়ার পাশাপাশি থাকবে সুনির্দিষ্ট স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা গাইডলাইন।