[১]টঙ্গী-ভৈরববাজার ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্পে অনিয়ম পেয়েছে আইএমইডি
সাইদ রিপন : [২] আইএমইডির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্মিত রেললাইনের এমবার্কমেন্ট নির্মাণে দুর্নীতি হয়েছে। প্রসস্থতা কম দিয়ে যেনতেনভাবে কাজ করা হয়েছে, কিছু জায়গায় সোল্ডার দুদিকেই ভেঙ্গে গেছে। রেলওয়ে ট্র্যাকের কতিপয় স্থানে ব্যালাস্ট (লাইনের পাথর) নিচু হয়ে গেছে। অনেক ঘন বসতি স্থানে পাথরের অপচয় হচ্ছে কারণ ব্যালাস্ট ওয়াল দেওয়া হয়নি। প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ চলাকালীন ৪টি মেজর ব্রিজ মাটি ভরাটের কারণে ব্লক হয়ে গেছে। ফলে পানি চলাচল বিঘিœত হচ্ছে। বেশিরভাগ ব্রিজের রং উঠে জং ধরেছে। [৩] রেল লাইনের নৈমিত্তিক রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে না। করলেও মান খুব খারাপ। অননুমোদিত লেভেল ক্রসিংয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। দুইটি স্টেশন জনবলের অভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। স্টেশনে নারীদের জন্য পৃথক টয়লেট ও বিশ্রামাগার নেই, যদিও তা করার কথা ছিল। স্টেশনগুলোতে যাত্রীদের টিকেট তল্লাশির অবস্থা নাজুক।
[৪] আইএমইডির সচিব আবুল মনসুর মো. ফয়েজউল্লাহ বলেন, প্রকল্পের কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। অডিট আপত্তিও নিষ্পন্ন হয়েছে। কিন্তু প্রকল্পের উন্নয়ন প্রস্তাবনা (ডিপিপি) অনুসারে অনেক কাজ হয়নি বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। বন্ধ হয়ে যাওয়া ব্রিজগুলো সচল করা ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থায় গতি আনা এবং জনবল সংকট নিরসন প্রয়োজন।
[৫] দুই দফায় মেয়াদ এবং প্রকল্পের ব্যয় বেড়েছে এক হাজার ৪৫১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। মূল ব্যয় ছিল ৭২৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। সম্পাদনা : রেজাউল