[১]উত্তরাঞ্চলে আসছে ভারতীয় গরু, দেশের খামারিরা দুশ্চিন্তায়
মোস্তাফিজার বাবলু : [২] কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় সরেজমিনে এ তথ্য পাওয়া যায়। [৩] কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি উপজেলার গোরকমন্ডপ, ভুরুঙ্গামারী, নাগেশ্বরীর, নারায়ণপুর, কুড়িগ্রাম সদরের কাঠালবাড়ি, লালমনিরহাটের বড়বাড়ির হাট, যাত্রাপুর, উলিপুরের সাহেবের আলগাসহ বিভিন্ন স্থানে জড়ো করা হচ্ছে চোরাই পথে আসা ভারতীয় গরু। [৪] গড়ে দৈনন্দিন ২ হাজারের অধিক গরু আসছে। যা কয়েকদিনের মধ্যেই এর সংখ্যা ৪ গুণ বৃদ্ধি পেতে পারে বলে গরু ব্যবসায়ীরা মন্তব্য করেন। এসব গরু হাটে উঠালেই প্রশাসনের লাইনম্যানরা গরু প্রতি ৮শ টাকা উৎকোচ নিয়ে থাকে। সেইসঙ্গে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বাররা চোরাই পথে আসা গরু গুলোর বৈধতা সনদ দিয়ে বিক্রির পথ সৃষ্টি করছে। [৫] ঈদুল আযহাকে ঘিরে এক সপ্তাহে ৫ হাজারের অধিক গরু সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করায় হুমকির মুখে পড়েছে দেশীয় খামারগুলো। [৬] তবে, এসব গরু চোরাই পথে বাংলাদেশে যাতে প্রবেশ করতে না পারে এজন্য সর্তক রয়েছে বিজিবি জানিয়ে কুড়িগ্রাম জেলা পরিচালক লে. কর্নেল মো. জামাল হেসেন বলেন, সিজারলিস্ট তৈরি করে পাচারকারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। [৭] ভারতীয় গরু যাতে প্রবেশ করতে না পারে এজন্য সীমান্তে বিজিবিকে সতর্ক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টচার্য। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান