[১]অবিক্রীত ৭শ কোটি টাকার চামড়া নিয়ে বিপাকে ব্যবসায়ীরা
মো. আখতারুজ্জামান : [২] করোনার প্রর্ভাবে দেশের পণ্য রপ্তানি আয় তলানিতে নেমেছে। চলতি বছরে প্রক্রিয়াজাত চামড়া রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১৬ কোটি ৫০ লাখ ডলারের। আর রপ্তানি হয়েছে মাত্র ৯ কোটি ৮৩ লাখ ডলার। যা গতবারের তুলনায় ৪০ শতাংশ কম। [৩] ব্যবসায়ীরা বলছেন, গতবছরের চামরা এখনও অবিক্রীত রয়েছে। এর মধ্যে চলে এসেছে নতুন চামড়া ক্রয়ের সময়। নগত অর্থ নিয়ে সংকটে রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। যদি চামড়া ব্যবসায়ীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ব্যাংকগুলোকে ঋণ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। [৪] চামড়াখাতে গত এক দশকে জুতা ও অন্যান্য চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে ধারাবাহিকভাবে, সেই সাথে বেড়েছে বিনিয়োগও। মন্দার কবলে পড়া বিশ্বাবাজারে হোঁচট খেয়েছে এসব পণ্যের রপ্তানিও। বিদায়ী অর্থবছরে ব্যাগ, বেল্ট, জ্যাকেটের মত পণ্যের রপ্তানি হয়েছে প্রায় ২২ কোটি ৫ লাখ ডলার। জুতার রপ্তানি কম লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ। সামগ্রিকভাবে চামড়াখাতের মূল সমস্যা উৎপাদন প্রক্রিয়ার দূষণ, যার সাথে করোনা বাড়তি সংকট তৈরি করেছে। [৫] বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ বলেন, প্রায় ৬০০ থেকে ৭০০ কোটি টাকার চামড়া অবিক্রীত অবস্থায় আছে। ফলে নগত অর্থ সংকটে রয়েছে ট্যানারি মালিকেরা। এখন তারা তাকিয়ে রয়েছেন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দিকে। [৬] তিনি বলেন, ব্যাংক যদি আগে ভাগে ঋণের ব্যবস্থা করে তাহলে কিছুটা ভালো হবে। অন্যথায় বড় সমস্যা তৈরি হবে বলে মনে করেন তিনি। সম্পাদনা : শোভন দত্ত