[১]উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে সীমাহীন দুর্ভোগ, প্লাবিত হচ্ছে মধ্যাঞ্চল
মুরাদ হাসান : [২] বন্যার বিস্তৃতি বেড়েই চলছে। দ্বিতীয় দফা বন্যা দুর্ভোগে রয়েছে উত্তর ও পূর্বের জনপদ। এরইমধ্যে পদ্মার পানি বেড়ে মধ্যাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। [৪] কুড়িগ্রামে প্রতিদিন নতুন নতুন অনেক এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। জেলার ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দি। [৫] গাইবান্ধায় এক লাখ ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি। তিন হাজার ৮৬ হেক্টর জমির পাট, আমন বীজতলা, আউশ ধান ও শাকসবজিসহ অন্যান্য ফসল তলিয়ে গেছে। [৬] জামালপুরে পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। গতকাল পানি বৃদ্ধি পেয়ে যমুনার বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। [৭] টাঙ্গাইলে যমুনা ও ধলেশ্বরী নদীর পানি বৃদ্ধির সঙ্গেসঙ্গে নিচু এলাকা এবং চরাঞ্চল তলিয়ে গেছে।
[৮] উজানের পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সিরাজগঞ্জের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। গতকাল যমুনার পানি ১৯ সেন্টিমিটার বেড়েছে।
[৯] পদ্মার বাড়ি বৃদ্ধি পেয়ে রাজবাড়ীর সদর, পাংশা দৌলতদিয়ার বিভিন্ন এলাকার মানুস পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। [১০] মাদারীপুরে পদ্মার পানি ৪২ সেন্টিমটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় গতকাল। জেলার শিবচরের চরাঞ্চলের চারটি ইউনিয়নের তলিয়ে গেছে বসতবাড়ি আর রাস্তাঘাটসহ ফসলি জমি।
[১১] সুরমা নদীর পানি কমতে শুরু করায় সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা হলেও দুর্ভোগ কমেনি। বন্যায় বসতবাড়িসহ টিউবওয়েল ডুবে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে।