[১]পাটখাতের উন্নয়ন ও সমস্যা সমাধানে দুই দশকে কোনো সুপারিশ বাস্তবায়িত হয়নি
সোহেল রহমান : [২] পাটখাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের পাটখাতের উন্নয়ন ও সমস্যা সমাধানে করণীয় নির্ধারণে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে বহু সভা-সেমিনার হলেও এতে অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। এসব আলোচনায় পাটখাতের দুর্দশার কারণ হিসেবে সরকারের ভ্রান্ত নীতি, বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ-এর ভুল পরামর্শ ও পাটখাত সংশ্লিষ্টদের পরিবর্তে আমলাদের দ্বারা বিজেএমসি পরিচালনার কারণে পাটখাত ডুবেছে বলে মন্তব্য করা হয়। [৩] জানা যায়, ২০০৭ সালের জুনে বেসরকারি উদ্যোগে ১১ সদস্য বিশিষ্ট ‘পাট ও পাটশিল্প গণকমিশন’ গঠন করা হয়। এর চেয়ারম্যান ছিলেন সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানি। মোট ১৫ দফা সুপারিশ করেছিল এই কমিটি। [৪] পরবর্তীতে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি’র উদ্যোগে গঠিত হয় ‘বাংলাদেশ পাট-অর্থনীতি বিকাশ সহায়ক নাগরিক কমিটি’। এ কমিটির সভাপতি ছিলেন ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহমদ। সার্বিক পাট খাতকে ৭টি শ্রেণিতে ভাগ করে ওই কমিটি ৫৭ দফা সুপারিশমালা প্রণয়ন করেছিল। এগুলো হচ্ছেÑআত্মঘাতি পাট খাত সংস্কার কর্মসূচি বাতিল-পূর্বক উন্নয়ন-উদ্দিষ্ট জনকল্যাণকামী ‘জাতীয় পাট নীতি’ প্রণয়ন; পাট শিল্পের কারখানা বিকাশ : রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি খাত; পাটকল শ্রমিক, মজুরি ও সংশ্লিষ্ট বিষয়; পাট শিল্পের ব্যবস্থাপনা; পাট ক্রয়-বিক্রয় বাজারজাতকরণ-বিপণন; পাট কৃষির বিকাশ এবং পাট অর্থনীতির কারিগরী-প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও অর্থায়ন। [৫] সর্বশেষ পাট শিল্পের বিকাশে করণীয় নির্ধারণে ২০০৯ সালের ২৪ মে ‘জাতীয় পাট কমিশন’ গঠন করেছিল সরকার। সম্পাদনা : রেজাউল