[১]রিজার্ভ থেকে উন্নয়ন প্রকল্পে ঋণ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতামত চেয়েছে অর্থমন্ত্রণালয়
সোহেল রহমান : [২] প্রধানমন্ত্রীর এ-সংক্রান্ত প্রস্তাবের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতামত জানতে চেয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। [৩] জানা যায়, সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বরাবর এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি দেয়া হয়েছে।
[৪] এতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্পে ঋণ নেয়ার খুঁটিনাটি বিষয় এবং এর অর্থনৈতিক প্রভাব যাচাই করে দেখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের আলোচনা বা অর্থনৈতিক প্রভাব সম্পর্কে কোনো সমীক্ষা করা হয়েছে কি নাÑসে বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়কে জানাতে বলা হয়েছে।
[৫] সম্প্রতি (৬ জুলাই) অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, আমরা বিদেশ থেকে ডলারে ঋণ নিই। আমাদের যেহেতু ডলার আছে, সেহেতু আমরা নিজেদের ডলার থেকে নিজেরাই ঋণ নিতে পারি। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংককে এর প্রভাব ও সম্ভাবনার খুঁটিনাটি যাচাই-বাছাই করে দেখতে বলেছিলেন তিনি।
[৬] বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানায়, বর্তমানে আমাদের রিজার্ভ যথেষ্ট। এটা দিয়ে প্রায় ৮ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। তবে রিজার্ভ থেকে সরাসরি ঋণ দেয়ার কোনো পদ্ধতি বর্তমানে চালু নেই। কোনো উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য বিদেশ থেকে যন্ত্রপাতি আমদানি করতে হলে গ্রাহক সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে এলসি খুলবে। ব্যাংকে যথেষ্ট ডলার না থাকলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে এ ডলারের যোগান দেবে। এভাবেই রিজার্ভের অর্থ ব্যয় হয়।