[১]বাসে নেই বাড়ি ফেরা মানুষের চাপ, লোকসানে পরিবহন
ইয়াসিন আরাফাত : [২] স্বাভাবিক ঈদের সময় যেখানে রাজধানীর বাস কাউন্টারগুলোতে পা ফেলাই যেখানে কষ্টসাধ্য, সেখানে ঈদের ২ দিন বাকি থাকলেও একেবারেই নেই যাত্রীর চাপ। বুধবার গাবতলী, কল্যাণপুর, শ্যামলী ও মহাখালী বাস টার্মিনালগুলোর কাউন্টারগুলোতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় একই চিত্র। [৩] ঢাকা জেলা যানবাহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. আব্বাস উদ্দিন জানান, ঈদের ১০ থেকে ১৫ দিন আগেই বাসের সব টিকিট বুকিং হয়ে যায়। সেখানে এবার বাসের অভাব না থাকলেও কাক্ষিত যাত্রীর দেখা মিলছে না। এতে করে বাস মালিক থেকে শুরু করে পরিবহন সংশ্লিষ্ট সকলকেই লোকসান গুনতে হচ্ছে।
[৪] দায়িত্বরতরা বলছেন, কোভিডের কারণে বাসের যাত্রী ব্যাপকহারে কমেছে। সরকারি নির্দেশ থাকায় অনেকেই এবার গ্রামে না গিয়ে ঢাকায় ঈদ করবেন। এছাড়াও মানুষের আয় কমে যাওয়ায় যাত্রীও কমে গেছে। একইসঙ্গে দেশব্যাপী বন্যার কারণেও যাত্রী কমে গেছে বলে অনেকের ধারণা। তবে তাদের ধারণা, ঈদের ছুটি ৩০ তারিখ থেকে শুরু হওয়ায় ৩০ ও ৩১ জুলাই যাত্রীর চাপ বাড়বে।
[৫] শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার প্রভাত রায় বলেন, ঈদে আমাদের তেমন কোনো প্রস্তুতি নেই। যাত্রী কম থাকার কারণে এবার গাড়ির সংখ্যাও কম। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সড়কে গাড়ি চালানো খুবই কঠিন। আগের মতো যদি আমরা ৪০টি সিটের টিকেট বিক্রি করতে পারতাম তাহলে মালিকের লাভ হতো। ৬০ পার্সেন্টেজ ভাড়ায় গাড়ি চালানোতে আমাদের ক্ষতি হচ্ছে। সম্পাদনা : রেজাউল