[১]ব্যস্ততা নেই ডোমারের কামারশালায়
রতন কুমার : [২] বৈশ্বিক মহামারিকোভিড ও গবাদি পশুর রোগের প্রভাব পড়েছে এবারের কোরবানির ঈদে। অনেকেই এবার কোরবানি দিচ্ছে না। নীলফামারীর ডামার উপজেলাও একই চিত্র বিরাজ করছে। [৪] কামারশিল্পীদের তৈরী পশু কোরবানির সরঞ্জামাদি বিক্রির হার খুব কম হওয়ায়, কাজের তাড়া নেই। বিক্রির শঙ্কা নিয়ে কামারশালায় তৈরি করছে কোরবানির সরমঞ্জাদি। কিন্তু বিক্রি না হলে কি হবে তাদের। সংসার চলবে কিভাবে! এ নিয়ে চরম দুঃশ্চিন্তায় কামার শিল্পীরা।
[৫] পশ্চিম বোড়াগাড়ী কামারপাড়ার নুরজামাল, আইয়ুব আলী জানান, প্রতি
বছর কোরবানির ঈদে হাতে অনেক বেশী কাজ থাকে। খাবার ও ঘুমানোর পর্যন্ত সময় থাকে না। এবার খুব কম অর্ডার পেয়েছি। [৬]একই এলাকার আব্দুল জলিল, রায়হান আলী জানান, বছরের ১১ মাস আমাদের হাতে কম কাজ থাকে। কোরবানির ঈদের আগে এক মাস কাজ করতে করতে দম ফেলারও সময় পাই না। এই এক মাসে যা উপার্জন করি, তা দিয়ে বছরের বাকি সময়টা পরিবারের খরচ চালাই। এবারে হাতে খুব কম কাজ এসেছে। তাই ওর্ডার কম, উপার্জন কম। এবারে বছরের বাকি সময়টা কিভাবে চলবে বুঝতে পারছি না।