[১]দ্বিতীয় প্রান্তিকে সৌদি আরবের বাজেট ঘাটতি ২৯ বিলিয়ন ডলার
রাশিদ রিয়াজ : [২] তেলের অব্যাহত দর পতনে এবং তেল নির্ভর অর্থনীতির বিকল্প বিনিয়োগ টানতে না পারায় সৌদি আরবের বাজেট ঘাটতি ২ হাজার ৯০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে। রাজস্ব আদায় ব্যাপক হ্রাস পাওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আরটি
[৩] গত এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত তেলের আয়ে ঘাটতি বেড়েছে ৪৫ শতাংশ এবং মোট বাজেট ঘাটতি বৃদ্ধি পেয়েছে ৪৯ শতাংশ। রাজস্ব ঘাটতি মোকাবেলায় সরকারি সাশ্রয়ের উদ্যোগ নিলেও তা অপর্যাপ্ত বলে মনে হচ্ছে।
[৪] আবু ধাবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ মনিকা মালিক রয়টার্সকে বলেন সৌদি সরকারের খরচের বহরের রাশ টেনে ধরা আরো জরুরি। কারণ সৌদির ঘোষিত কঠোর পদক্ষেপগুলো যথেষ্ট বলে মনে হচ্ছে না।
[৫] এবছরের জন্যে সৌদি বাজেটে কাটছাঁট করা হয়েছে ১৩.২ বিলিয়ন ডলার। ভ্যাট বৃদ্ধি করা হয়েছে ৩গুণ অর্থাৎ ১৫ শতাংশ। সমস্ত সৌদি সরকারি কর্মচারিদের জন্যে ব্যয়বহুল ভাতা স্থগিত করা হয়েছে যারা কর্মসংস্থানের দিক থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠ।
[৬] বেশ কিছু ব্যাংক নিজেদের মধ্যে একীভূতকরণ করেও তেলের দর পতনের ধস ঠেকানোর উদ্যোগ নিয়েছে। [৭] সৌদি অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পুনরুদ্ধারের গতি কমিয়ে দিতে পারে। আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে সৌদি আরব ইতিমধ্যে ১৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়েছে।
[৮] আইএমএফ মনে করছে সৌদি অর্থনীতি এবার হ্রাস পাবে ৬.৮ শতাংশ। সৌদি আরব নিজেও এ চিত্রকে হতাশাজনক বলে অভিহিত করেছে।