[১]সীসায় ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ চতুর্থ
জেরিন আহমেদ : [২] বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব হেল্থ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভাল্যুয়েশন কর্তৃক পরিচালিত এক সমীক্ষা জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) প্রকাশ করেছে।
[৩] প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সীসা বিষক্রিয়ায় শিশুরা ব্যাপকভাবে ও পূর্বের অজানা মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিশ্বজুড়ে প্রতি তিনজন শিশুর একজন বা প্রায় ৮০ কোটি শিশুর রক্তে সীসার মাত্রা প্রতি ডেসিলিটারে ৫ মাইক্রোগ্রাম বা তার বেশি। এই শিশুদের রক্তে সীসার মাত্রা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, এখন পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। এই শিশুদের প্রায় অর্ধেকের বসবাস দক্ষিণ এশিয়ায়। বাংলাদেশে আনুমানিক ৩ কোটি ৫৫ লাখ শিশুর রক্তে সীসার মাত্রা ৫ মাইক্রোগ্রাম/ডেসিলিটারের বেশি, যা ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের সংখ্যার দিক থেকে বিশ্বে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশকে চতুর্থ অবস্থানে নিয়ে গেছে।
[৪] বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি তোমো হোজুমি বলেছেন, সীসার বিষক্রিয়া শিশুদের জীবনভর শিক্ষাগ্রহণে অসামর্থ্য করে তোলাসহ তাদের স্বাস্থ্য ও বিকাশের ওপর মারাত্মক ও দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলে এবং এর কারণে বড় হওয়ার পর তাদের আয়ের সক্ষমতাও প্রভাবিত হয়। বিপজ্জনক ধাতব বর্জ্য ও সীসার দূষণ এবং এর কারণে শিশুদের ক্ষতিজনিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সহায়তা করতে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে কাজ করবে ইউনিসেফ।সূত্র: টাইমস নিউজ, নিউজ ১৮। সম্পাদনা : শোভন দত্ত