[১]ব্যাংকের ইক্যুইটি বিনিয়োগ নেয়া বেসরকারি খাতের প্রকল্পকে পুঁজিবাজারে আসতে হবে
সোহেল রহমান : [২] সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের এ-সংক্রান্ত নীতিমালায় বলা হয়েছে, বেসরকারি খাতের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, পর্যটন এবং ডিজিটাল অবকাঠামো খাতে ব্যাংকের ইক্যুইটি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রথম সাবস্ক্রিপশনের তারিখ থেকে ১ বছরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে হবে এবং এ লক্ষ্যে বিনিয়োগকারী ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের মধ্যে অ-পরিবর্তনীয় সমঝোতা চুক্তি সই করতে হবে। আর ইতিমধ্যে যেসব বেসরকারি প্রকল্পে ব্যাংকের ইক্যুইটি বিনিয়োগ রয়েছে সেগুলোকে নীতিমালা জারির ৬ মাসের মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির উদ্যোগ নিতে হবে।
[৩] নীতিমালা অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোকে ‘ডাইরেক্ট লিস্টিং’ পদ্ধতিতে পুঁজিবাজারে আসতে হবে এবং শেয়ারপ্রতি মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে ব্যাংক যে মূল্যে কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করেছে এর গড় মূল্যের কম হবে না এবং সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের পরিশোধিত মূলধনের ৫ শতাংশের বেশি প্রথম বছরে তালিকাভুক্ত করা যাবে না। [৪] নীতিমালায় বলা হয়েছে, প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কোনো কোম্পানির বিপরীতে রূপান্তরযোগ্য বন্ড থাকলে এবং সংশ্লিষ্ট বন্ডের চুক্তিপত্রে ভিন্নরূপ কিছু না থাকলে তালিকাভুক্তির মূল্যে রূপান্তরের সুযোগ থাকবে। এক্ষেত্রে বন্ডের বিপরীতে থাকা তহবিলের আনুপাতিক অংশ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কোম্পানি অবশিষ্ট বন্ডের (যদি থাকে) মেয়াদপূর্তির আগেই নিজস্ব প্রয়োজনে ব্যবহার করা যাবে। এরূপ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির পর বিনিয়োগকারী ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগের নিরাপত্তার জন্য অ-তালিকাভুক্ত থাকাকালীন গঠিত কোনো বিশেষ তহবিল সংশ্লিষ্ট কোম্পানি তার পর্ষদের অনুমোদনক্রমে শুধুমাত্র নগদ লভ্যাংশ প্রদান বা তফসিলি ব্যাংকের দায় পরিশোধে ব্যবহার করতে পারবে। সম্পাদনা : রেজাউল