দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ল ৩ অক্টোবর পর্যন্ত
এসআই রাজ : বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া মহামারী করোনার কারণে সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি বাড়ানো হয়েছে। তবে কওমি মাদ্রাসা এই ছুটির বাইরে থাকবে। বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে ছুটি বাড়ানোর এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন বলে জানান হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতিতে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। তবে গত ২৪ আগস্ট কওমি মাদ্রাসা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। করোনার কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে টিভিতে ক্লাস সম্প্রচার করা হচ্ছে। আর উচ্চ মাধ্যমিক এবং উচ্চ শিক্ষাস্তরে অনলাইনে ক্লাস পরিচালনা করছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।
এবছর প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে স্ব স্ব স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা নিয়ে মূল্যায়ন করা হবে। এজন্য পঞ্চমের শিক্ষার্থীরা বৃত্তিও পাবে না। তবে চালু থাকবে উপবৃত্তি।
এদিকে করোনাভাইরাসের কারণে চলতি বছর জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা বাতিল করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর আগে, গত ২৩ আগস্ট জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা বাতিলের প্রস্তাবনা সংক্রান্ত সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়। সেই সারসংক্ষেপে সম্মতি দেন প্রধানমন্ত্রী। সরকারপ্রধানের সম্মতিপত্র বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে পাঠানো হয়। পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ কাজ করছে বলে জানা গেছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে এ দুই স্তরের পাবলিক পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় ক্লাস মূল্যায়নের মাধ্যমে পাস করিয়ে সার্টিফিকেট দেয়া হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। গত ১ এপ্রিল থেকে এই পরীক্ষা শুরুর কথা ছিল। এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর করোনার কারণে একাদশ শ্রেণিতে দেরিতে হলেও গত ৯ আগস্ট হতে অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রমও শুরু করা হয়েছে। উচ্চ শিক্ষাস্তরে অনলাইনে সীমিত পরিসরে ক্লাস চালু করেছে কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়। সবমিলে শিক্ষাব্যবস্থাতেও স্থবিরতা নেমে এসেছে। এ অবস্থায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে পরীক্ষা গ্রহণের জন্য বিভিন্ন বিকল্প নিয়ে এগোচ্ছে দুই মন্ত্রণালয়।