বৈদেশিক বিনিয়োগে অর্থনৈতিক জোনগুলোতে বিশেষ সুযোগ দেয়া হচ্ছে : সালমান এফ রহমান
নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশে ব্যবসায়বান্ধব ব্যবস্থা ও বাংলাদেশে সিঙ্গাপুরের বিনিয়োগের সুযোগ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, মহামারীর আগেও বাংলাদেশ শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। চলমান সংকট থাকা সত্ত্বেও আমরা অন্য যেকোন সময়ের চেয়ে অর্থনৈতিক অবস্থা দ্রুত স্বাবলম্বী হয়ে উঠবো বলে আশা করা যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা হাই-টেক পার্কে বিশেষ সুযোগ দিচ্ছি। দেশে যে কোন আইটি অবকাঠামো ভিত্তিক বিনিয়োগের জন্য ইউনিয়ন পর্যায়ে ফাইবার অপটিক লাইনের সংযোগ রয়েছে। প্রাকৃতিক সম্পদ যেমন গ্যাস, পানির পর্যাপ্ত সরবরাহসহ বিদ্যুৎ উৎপাদন আমাদের প্রচুর উদ্বৃত্ত রয়েছে। এছাড়াও আমাদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ফ্রিল্যান্সার মার্কেট ও ক্রমবর্ধমান আইসিটি সেক্টর রয়েছে।
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, বর্তমান কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে যা পুরো বিশ্ব জুড়ে বিরাজ করছে। মহামারী মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকার চারটি মূল অর্থনৈতিক হস্তক্ষেপে উপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। অর্থ সঞ্চালনের জন্য অগ্রধিকার ভিত্তিক ব্যয়, সামাজিক সুরক্ষা নেট প্রোগ্রামের আওতায় ৪৫ মিলিয়ন লোককে খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি ৫ মিলিয়ন পরিবারকে নগদ অর্থ প্রদান, ব্যাংকিং তারল্য ৪% থেকে বাড়িয়ে ৪.৭৫% করা, রেপো রেট ৪% করা। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫০-৫০ সমন্বয় তহবিলের মাধ্যমে সিএমএসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের জন্য ঝুঁকি ঋণ চালু করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ব্যাংক-ক্লায়েন্ট সম্পর্কের বাইরে থাকা ব্যবসায়ীদের সাহায্য করা, কর্পোরেট কর। সেই সঙ্গে সকল আয়কর হ্রাস করা হয়েছে।
বাংলাদেশের সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের একটি অনুকূল বিকল্প মাধ্যম হিসেবে নিশ্চিত করে সভাপতি আরও বলেন, এই ধরনের সমন্বিত ও ব্যাপক প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা আমাদের অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী। কারণ হিসেবে বলেন, ২০২০ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশ আমদানি রপ্তানি, রেমিটেন্স ও বৈদেশিক মদ্রার মজুদ সকল ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির সাথে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের প্রবণতা প্রদর্শন করছে। কোভিড-১৯ সংকট থাকা সত্ত্বেও ২০১৯-২০ অর্থবছরে জিডিপি বেড়েছে ৫.২৪%, রেমিট্যান্স ৫.৪% এবং ফরেক্স রিজার্ভ প্রবৃদ্ধি ১০% বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছি।
ফাহিম বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগকৃত বেশিরভাগ বহুজাতিক কোম্পানির বৈশ্বিক শীর্ষ পাঁচ অপারেশনের মধ্যে তাদের বাংলাদেশে পরিচালিত কার্যক্রম উল্লেখযোগ্য। ১,৬০০ মিলিয়ন দেশীয় বাজারের পাশাপাশি ভারতের বাজারে শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা, চীন, ইইউ, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, কানাডা এবং সাফটা এর মাধ্যমে উৎপাদনের প্রতিযোগিতামূলক সুবিধার সাথে অগ্রাধিকার ভিত্তিক বাজারের সুবিধা সিঙ্গাপুরের বিনিয়োগকারীরা নিতে পারবেন। বিআইডিএ-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম কৃষি-প্রক্রিয়াকরণ ক্ষেত্র, লাইট-ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টর, বিনিয়োগের জন্য প্রযুক্তির মতো অসংখ্য সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রকে তুলে ধরে বলেন, আমরা বিনিয়োগকারীদের জন্য আমাদের ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করার মাধ্যমে বাংলাদেশ ইজ অব ডুয়িং বিজনেস সূচকে উল্লেখযোগ্য উন্নতি সাধন করেছে।