আমার দেশ • প্রথম পাতা • লিড ২
লাফিয়ে বাড়ছে রিজার্ভ ছাড়িয়েছে ৩৯ বিলিয়ন ডলার
নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের ওপর ভর করে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে বৈদেশিক মুদ্রা মজুদের পরিমাণ। প্রতিনিয়ত তৈরি হচ্ছে নতুন রেকর্ড। মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে প্রথমবারের মতো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৯ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে করেছে।
জানা যায়, চলতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর দিনের শুরুতে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ গিয়ে দাঁড়ায় তিন হাজার ৯৪০ কোটি ডলারে। দেশিয় মুদ্রায় যার পরিমাণ তিন লাখ ৩১ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। প্রতি মাসে ৪ বিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয় ধরে মজুত এই বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে প্রায় সাড়ে ৯ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।
সংশ্লিষ্টদের মতে, এখন বৈধপথে রেমিটেন্স আসছে। এছাড়া আমদানি ব্যয়ের চাপ কম, দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও জাইকার বৈদেশিক ঋণসহায়তা এবং বিশ্ব সংস্থার অনুদানের কারণে রিজার্ভ বেড়েছে।
গত আগস্ট মাসের ২৭ দিনে ১৭২ কোটি ৫৮ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। গত বছরের পুরো আগস্ট মাসে ১৪৪ কোটি ৪৭ লাখ ডলারের রেমিটেন্স এসেছিল। এছাড়া চলতি বছরের জুলাইয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ২৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ডলার সমপরিমাণ রেমিটেন্স দেশে পাঠিয়েছেন।
একক মাস হিসেবে যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিটেন্স আহরণ। এর আগে সর্বোচ্চ রেকর্ড রেমিটেন্স এসেছিল চলতি বছরের জুনে। ওই মাসে রেমিটেন্স এসেছিল ১৮৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার।
জানা যায়, গত অর্থবছর রেমিটেন্সের ওপর ঘোষিত ২ শতাংশ প্রণোদনা ঘোষণা করে সরকার। এরপর থেকেই বৈধ চ্যানেলে রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়তে থাকে। চলতি অর্থবছরেও রেমিটেন্সে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা অব্যাহত রাখা হয়েছে। এরপর থেকেই বৈধ চ্যানেলে রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়তে থাকে।
গত অর্থবছরে প্রবাসীরা মোট এক হাজার ৮২০ কোটি ৪৯ লাখ ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন। দেশিয় মুদ্রায় যা এক লাখ ৫৪ হাজার ৭৪২ কোটি টাকা। এর আগে কোনো অর্থবছরে এত অর্থ দেশে আসেনি। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে রেমিটেন্স আহরণে রেকর্ড হয়। ওই সময়ে প্রবাসীরা এক হাজার ৬৪২ কোটি ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন। রেজা