নগর সংস্করণ • প্রথম পাতা • লিড ৫ • শেষ পাতা
বাংলাদেশ-সুইজারল্যান্ড দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি ও বিনিয়োগ বাড়াতে নভেম্বরে ঢাকায় বৈঠক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : রোববার সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি ও বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড পারস্পরিক মতবিনিময়কালে এ সিদ্ধান্ত নেন।
এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি বলেন, সুইজারল্যান্ড বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়ীক অংশীদার। উভয় দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রচুর সুযোগ রয়েছে, এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। বাংলাদেশ সুইজারলান্ডের জন্য লাভজনক বিনিয়োগ স্থল হতে পারে। সুইজারল্যান্ডের ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশ সফর করলে ইতিবাচক ফল পাওয়া যাবে।
সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে সুইজারল্যান্ড প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। বৈদেশিক বাণিজ্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক সক্ষমতা অর্জন করেছে। সুইজারল্যান্ড বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার দেয়। উভয় দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে এবং বাণিজ্য সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে। বিশেষত ওষুধ ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রচুর সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তবে উভয় দেশের মধ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হলে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করা সহজ হবে।
প্রসঙ্গক্রমে বাণিজ্যমন্ত্রী সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতকে জানান, বাংলাদেশ বিনিয়োগের আনুষ্ঠানিকতা সহজ ও দ্রুত করার পদক্ষেপ নিয়েছে। অতি সহজেই বাণিজ্য করার পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট (এফডিআই) আকৃষ্ট করতে বাংলাদেশ কোম্পানি আইন সময়োপযোগী করাসহ ব্যবসা সহজীকরণের অন্যান্য সূচকেও প্রয়োজনীয় সংস্কার সাধন করেছে। বিনিয়োগকারীদের জন্য ট্যাক্সসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আকর্ষণীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে। বিনিয়োগের জন্য এখন বাংলাদেশ উপযুক্ত স্থান। পরিবর্তনশীল বিশ^বাণিজ্য পরিস্থিতিতে চীন থেকে আমেরিকা, জাপানসহ অনেক দেশ তাদের শিল্পকলকারখানা রি-লোকেশনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। দেশগুলো বাংলাদেশকে এখন বিনিয়োগের উপযুক্ত স্থান মনে করছে। জাপানের বিখ্যাত মিতসুবিসি ও ভারতের টাটা কোম্পানি বাংলাদেশে গাড়ি তৈরী কারখানা স্থাপনের চিন্তা-ভাবনা করছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে, এগুলোর প্রায় অর্ধেকের কাজ সমাপ্তির পথে। এগুলোতে জাপান, ভারত, চীন, কোরিয়াসহ বিভিন্ন দেশ বড় ধরনের বিনিয়োগ করতে এগিয়ে এসেছে। রপ্তানি খাতের পণ্য সংখ্যা বাড়াতে বাংলাদেশ সরকার কৃষিজাত পণ্য, ফার্মাসিটিউক্যাল, চামড়াজাত পণ্য, আইসিটি ও পাটজাত পণ্যকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। বাংলাদেশে প্রচুর দক্ষ জনশক্তি রয়েছে। সেবা খাতেও বাংলাদেশের প্রচুর দক্ষ জনশক্তি রয়েছে। সুইজারল্যান্ড চাইলে তা ব্যবহার করতে পারে।
গত ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে বাংলাদেশ ১০ কোটি ৬৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে এবং অর্থবছরের জুলাই-মার্চ পর্যন্ত সময়ে আমদানি করেছে ২৪ কোটি ৫১ লাখ ৯০ হাজার ডলার মূল্যের পণ্য। এর আগের বছরে অর্থাৎ ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশ সুইজারল্যান্ডে রপ্তানি করেছে ১০ কোটি ৬৮ লাখ ৬০ হাজার ডলার মূল্যের পণ্য। একই সময়ে আমদানি করেছে ২৭ কোটি ৬ লাখ ডলার মূল্যের পণ্য। রেজা