তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের বিকাশ ঘটাবে বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি-২
এস. ইসলাম : বর্তমান সময়ে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই প্রযুক্তি নির্ভর। প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। সময় এবং বিশ্বের সাথে সমভাবে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কাজ করে যাচ্ছে সরকার। দেশকে ডিজিটালাইজেশন করার লক্ষ্যে নানামুখী প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকারের আইসিটি বিভাগ। তথ্য-প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহারের জন্য অবকাঠামোগত সুবিধাদি হাই-টেক পার্ক, সফট্ওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, আইটি পার্ক, আইটি ইনকিউবেটর ইত্যাদি স্থাপনা সৃষ্টির মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তথ্য-প্রযুক্তি শিল্পের বিকাশ ও বিস্তার ঘটানো কাজ করছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। ‘বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি-২ এর সহায়ক অবকাঠামো নির্মাণ’ প্রকল্পটি শেষ হলে আইটি খাত মানুষের সৃজনশীলতা ও কর্মক্ষমতা সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে। মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলে জ্ঞানভিত্তিক মানবসম্পদ গড়ে সহায়ক ভুমিকা রাখবে। চার বছর মেয়াদী অর্থাৎ ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে শুরু হয়ে ২০২২ সালের জুনের মধ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ব্যয় হবে ৩ শত ৪৪ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। এর পুরোটাই দেবে বাংলাদেশ সরকার। ‘বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি- ২ এর সহায়ক অবকাঠামো নির্মাণ’ প্রকল্পটি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের উদ্যোগে বাংলাদেশে হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এটি বাস্তবায়ন করবে। এ প্রকল্পের আওতায় প্রশাসনিক ভবন, মূলসড়ক ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মান করা হচ্ছে। হাই-টেক পার্কে যে সকল হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার উৎপাদিত হবে তা দেশে ব্যবহারের মাধ্যমে আমদানি হ্রাস পাবে এবং বিদেশে বিনিয়োগের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হবে। দেশের শিল্প উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, প্রায় ৭০ হাজারেরও অধিক লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। ফরওয়ার্ড-ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজ এর মাধ্যমে বিভিন্ন শিল্প গড়ে উঠবে এবং কর্মসংস্থান হবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করাই এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য। প্রকল্পের আওতায় ১০তলা বিশিষ্ট এক লাখ ২০ হাজার বর্গফুটের দুটি ডরমেটরি ভবন নির্মাণ, সেবা ভবন তিনতলা থেকে ১০তলা পর্যন্ত নির্মাণ, একতলা বিশিষ্ট সাব-স্টেশন নির্মাণ, অভ্যন্তরীণ রাস্তা নির্মাণ, দুটি ব্রিজ ও পাঁচটি কালভার্ট নির্মাণ, ইলেকট্রো মেকানিক্যাল ওয়ার্কস, অভ্যন্তরীণ ড্রেনেজ, ওয়াকওয়ে ও ইউটিলিটি ডাক্ট, সীমানা প্রাচীর, পাম্প হাউজ ইত্যাদি নির্মাণ, সিকিউরিটি সার্ভিস ও আউটসোর্সিং জনবল ভাড়া করা, বিভিন্ন পর্যায়ে জনবল নিয়োগ, যানবাহন কেনা এবং বিভিন্ন ধরনের কম্পিউটার এক্সেসরিজ ও ফার্নিচার সংগ্রহ রয়েছে।