আজ থেকে সারাদেশে ৩০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করবে টিসিবি
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : সারা দেশে ২৭৫টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে আজ রোববার থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করছে ‘ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ’ (টিসিবি)। একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ ২ কেজি পেঁয়াজ কিনতে পারবেন। এ ছাড়া পেঁয়াজের সঙ্গে চিনি, মশুর ডাল এবং সয়াবিন তেলও ভর্তুকি মূল্যে বিক্রি হবে।
টিসিবি সূত্রে জানা যায়, প্রতিকেজি চিনি ও মশুর ডাল ৫০ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ ২ কেজি কেনা যাবে। এ ছাড়া সয়াবিন তেল প্রতিলিটারের দাম হচ্ছে ৮০ টাকা। একজন ক্রেতা ২ লিটার থেকে সর্বোচ্চ ৫ লিটার পর্যন্ত সয়াবিন তেল কিনতে পারবেন।
টিসিবি জানায়, বর্তমান করোনা পরিস্থিতি ও বন্য পরবর্তী পরিস্থিতিতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে টিসিবি এসব পণ্য বিক্রি করবে। এর মধ্যে ঢাকায় ৪০টি ট্রাক, চট্টগ্রামে ১০টি, রংপুর ৭টি, ময়মনসিংহে ৫টি, রাজশাহীতে ৫টি, খুলনায় ৫টি, বরিশালে ৫টি, সিলেটে ৫টি, বগুড়ায় ৫টি, কুমিল্লায় ৫টি, ঝিনাইদহে ৩টি ও মাদারীপুরে ৩টি করে অবশিষ্ট জেলা ও উপজেলায় প্রত্যেকটিতে ২টি করে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে পণ্য বিক্রি করা হবে।
এছাড়া টিসিবি’র আঞ্চলিক কার্যালয়ের আওতাভুক্ত উপজেলায় অতিরিক্ত ৫টি ট্রাকে ও বন্যা কবলিত জেলা ও উপজেলায় পরিস্থিতি বিবেচনায় ১৩টি ট্রাক পণ্য বিক্রি করবে। আর এই বিক্রি কার্যক্রম শুক্রবার ও শনিবার বাদে ১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলবে। প্রতিটি ট্রাকে চিনি ৫০০-৭০০ কেজি, মশুর ডাল ৪০০-৬০০ কেজি, সয়াবিন তেল ৭০০ থেকে ১ হাজার লিটার ও পেঁয়াজ ২০০ থেকে সর্বোচ্চ ৪০০ কেজি পর্যন্ত বরাদ্দ থাকবে। প্রসঙ্গত, দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে গত এক সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম কয়েক দফা বেড়েছে। যদিও পেঁয়াজের মজুদ ও সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই বলে দাবি করছে সরকার। বর্তমানে এক কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। এমতাবস্থায় পেঁয়াজের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে টিসিবি’র মাধ্যমে খোলা বাজাওে ন্যায্যমূল্যে পেঁয়াজ বিক্রির এ উদ্যোগ নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
পেঁয়াজের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি বলেছেন, দেশে বন্যার কারণে পেঁয়াজ সরবরাহে সমস্যা হয়েছে। ফলে একটু দাম বেড়েছে বাজারে। আমরা খুব চেষ্টা করছি। টিসিবি বড় পরিসরে নামছে। আগামী রোববার থেকে ন্যায্যমূল্যে খোলাবাজারে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হবে। এ বছর আমরা সর্বকালের রেকর্ড ভঙ্গ করে সর্বোচ্চ পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করবো। পাশাপাশি পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহারের জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে। আশা করছি শুল্ক প্রত্যাহার করা হবে।
তিনি বলেন, গত বছর ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ায় আমরা নতুন বাজার থেকে আমদানি করতে শিখেছি। তুরস্ক, মিশর ও ইন্দোনেশিয়াসহ বিভিন্ন দেশ থেকে গতবার পেঁয়াজ আমদানির কারণে কারণে এবারও সেসব দেশের সঙ্গে যোগাযোগ ভালো আছে। ইতোমধ্যেই তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য টিসিবি’র মাধ্যমে দরপত্র দেয়া হয়েছে। প্রসঙ্গক্রমে তিনি আরও বলেন, ভারতের বাজারেও ইতোমধ্যে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। এ কারণে রেকর্ড পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তবে গত বছর আর এ বছরের মধ্যে পার্থক্য হলো গত বছর ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছিল। এবার বন্ধ করেনি। সম্পাদনা : শোভন দত্ত