একাদশে ভর্তি কার্যক্রম শুরু চলবে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত
এসআই রাজ : কোভিড পরিস্থিতিতে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে একাদশ শ্রেণিতে নতুন ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের জন্য চলতি বছরের অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে অনলাইন ক্লাস শুরু হচ্ছে। এ লক্ষ্যে ১ অক্টোবর বাজারে এই ক্লাসের পাঠ্যবই বিক্রির জন্য উন্মুক্ত করা হবে। রোববার থেকে শুরু হওয়া ভর্তি কার্যক্রম চলবে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। আন্তঃশিক্ষা সমন্বয়ক বোর্ড থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হবে। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে অনলাইনেই কেবল এই ক্লাস চলবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে গেলে স্বাভাবিক ক্লাস শুরু হবে।
কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা সুযোগ পাওয়া কলেজে ভর্তি হবেন। এজন্য নীতিমালা এরইমধ্যে প্রকাশ করেছে সরকার। গত ৮ সেপ্টেম্বর দুটি পৃথক বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে। এতে পৌর এলাকার এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তিতে সাকুল্যে ১ হাজার টাকা, পৌর (জেলা সদর) এলাকায় ২ হাজার টাকা ও ঢাকা মহানগর ছাড়া অন্য মেট্রোপলিটন এলাকায় ৩ হাজার টাকার বেশি আদায় করতে পারবে না বলে নির্দেশনা দেয়া হয়।
এছাড়া ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে ৫ হাজার টাকার বেশি অর্থ আদায় করা যাবে না। ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার আংশিক এমপিওভুক্ত বা এমপিওবহির্ভূত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন ও এমপিওবহির্ভূত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দেয়ার জন্য শিক্ষার্থী ভর্তি ফি, সেশন চার্জ, উন্নয়ন ফিসহ বাংলা মাধ্যমে সর্বোচ্চ সাড়ে ৭ হাজার টাকা এবং ইংরেজি ভার্সনে সর্বোচ্চ সাড়ে ৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়।
উন্নয়ন খাতে কোনো প্রতিষ্ঠান এবার ১৫০০ টাকার বেশি আদায় করতে পারবে না কোনো কলেজ। গত বছর এ খাতে ৩ হাজার টাকা ছিল। করোনা পরিস্থিতির কারণে এই ফি কমিয়েছে বোর্ড। এছাড়া রেড ক্রিসেন্ট ফি ৪০ শতাংশ কমিয়ে ১২ টাকা করা হয়েছে। কোনো শিক্ষার্থীর পাঠ বিরতি থাকলে ও বিলম্বে ভর্তি হলে যথাক্রমে ১৫০ টাকা এবং ১০০ টাকা আদায় করা যাবে। সরকারি কলেজগুলোকে সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী ফি সংগ্রহ করতে হবে।
জানা গেছে, এবারও মোট তিন ধাপে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ভর্তির আবেদন করে। প্রায় ১৪ লাখ শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন করেছে। এ বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করেছে ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৫২৩ জন। অন্যদিকে উচ্চমাধ্যমিকে মোট পাঠ্য বইয়ের সংখ্যা ৩৯টি। এগুলোর মধ্যে- বাংলা, ইংরেজি এবং বাংলা সহপাঠ বই সরকারিভাবে প্রকাশিত হয়। এবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের বইটিও বেসরকারি প্রকাশকদের পাশাপাশি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) বইও বাজারে থাকছে। এই বইটি নিয়ে মামলা হয়েছিল। ফলে বেসরকারি প্রকাশকদের প্রকাশিত বাকি ৩৫টি বই বাজারে থাকছে।
উচ্চ মাধ্যমিকের বই প্রকাশকদের একজন পুথিনিলয়ের সত্ত্বাধিকারী শ্যামল পাল জানান, ১ অক্টোবরই বাজারে বই বিক্রির ব্যবস্থা রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী প্রস্তুতি চলছে। সূত্র : জাগোনিউজ, সময়টিভি অনলাইন। সম্পাদনা : শোভন দত্ত