লকডাউন শিথিল করলেও টানা ছয়মাসে ভারতের রপ্তানিতে ধস
মুসা আহমেদ : করোনায় জর্জরিত ভারত। দেশটিতে দিন দিন বেড়েই চলেছে কোভিড-১৯ সংক্রমণ। অর্থনৈতিক বিবেচনায় লকডাউন শিথিল করলেও করোনা আতঙ্কে থমকে যাচ্ছে অর্থনৈতিক কর্মকা-। ফলে করোনার প্রাদুর্ভাবের পর থেকে আগস্ট পর্যন্ত টানা ছয়মাস রপ্তানি খাতে বড় ধস দেখে ভারত। ইকোনোমিক টাইমস
দেশটির সরকারি তথ্যমতে, গতবারের তুলনায় আগস্টে দেশটির রপ্তানি কমে যায় ১২ দশমিক ৭ শতাংশ। অন্যদিকে আমদানিতে বড় বিপর্যয় দেখে ভারত। একই মাসে আমদানি ২৬ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ৬ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে গেলো বছর এমন সময়ে আমদানি ছিলো ১৩ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। প্রতিবেদনে বলা হয়, আগস্টে দেশটির মোট রপ্তানি দাঁড়ায় ২২ দশমিক ৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অন্যদিকে দেশটিতে আমদানি হয়েছে ২৯ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য।
দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের দেয়া তথ্যমতে, লকডাউনের পর এখন পর্যন্ত যেসব পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ধস দেখেছে ভারত তা হলো- পেট্রোলিয়াম পদার্থ, চামড়াজাতীয় পণ্য, হীরা, স্বর্ণ ও প্রকৌশলী যন্ত্রাংশ। এদিকে জুনে অসম বাণিজ্যি উব্দৃত্তের রেকর্ড গড়েছে ভারত। ওই মাসে আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে চরম বিপর্যস্ত হয় দেশটি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বিধিনিষেধ শিথিলে অর্থনৈতিক কর্মকা- অনেকটা চালু হওয়ায় অন্যান্য খাতের মত রপ্তানিতেও ঘুরে দাঁড়াবে ভারত। বাণিজ্যিক কর্মকা-ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে এরইমধ্যে বেশকিছু প্রণোদনা প্যাকেজ হাতে নিয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। ইতিমধ্যে স্বর্ণ ও তেলবিহীন পণ্য আমদানি বেড়েছে অনেকটা। ফলে সামনে আরো ঘাটতি বাণিজ্যি দেখা যেতে পারে। তারা বলছেন, যেসব পণ্য বাণিজ্যিক ঘাটতিতে বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে, সেগুলোতে পুনরায় যাতে ঘুরে দাঁড়ানো যায় সেই লক্ষ্যে প্রচেষ্টা চালাতে হবে সংশ্লিষ্টদের। দেশটিতে এ পর্যন্ত কোভিড-১৯ এ সংক্রমিত হয়েছে ৫০ লাখ ৬০ হাজার ৮১৮ জন। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৮২ হাজার ৫০৪ জনের। তবে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৩৯ লাখ ৭৬ হাজার ৪১৩ জন। সম্পাদনা : শোভন দত্ত