অ্যাপস ছাড়া মোটরযানে যাত্রী হিসেবে উঠা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবে ডিএমপি
সুজন কৈরী : রাইড শেয়ারিং অ্যাপস ছাড়া মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকারে চুক্তিভিত্তিক যাত্রী পরিবহন করায় প্রায়ই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। গত ২১ আগস্ট দুপুরেও তুরাগ এলাকায় যাত্রীবেশে অ্যাপস্ ব্যবহার না করে একজন রাইডারের মোটর সাইকেল ভাড়া করে নিয়ে যায়। সেখানে যাওয়ার পর রাইডারকে চাকু দিয়ে ভয় দেখিয়ে তার মোটর সাইকেল ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। ওই ঘটনায় মামলা হলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্ত করে ঘটনায় জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করে। সেইসঙ্গে উদ্ধার করা হয় ছিনতাইকৃত মোটরসাইকেলটিও। ডিএমপি বলছে, অ্যাপ ছাড়া মোটরযানে যাত্রী হিসেবে উঠা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাশাপাশি অ্যাপভিত্তিক মোটরসেবায় জড়িত বাইকাররা যেন অ্যাপ ছাড়া যাত্রী পরিবহন না করেন, সে জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করবে ডিএমপি। বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে রাজধানীর উত্তরায় মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার সংক্রান্ত আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের নবনিযুক্ত অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, গত ২১ আগস্ট দুপুর দেড়টায় তুরাগের ১৫ নম্বর সেক্টরের ৫ নম্বর ব্রীজ সংলগ্ন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির গলিতে ভুক্তভোগী রাইডার মোটরসাইকেলসহ পৌঁছানোর পর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে। পরে ভিকটিমকে চাকু দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে তার ব্যবহৃত টিভিএস স্ট্রাইকার এবং ১টি মোবাইল সেট ছিনতাই করে। ওই ঘটনায় তুরাগ থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়। মামলাটি গোয়েন্দা উত্তরা জোনাল টিম তদন্ত করে জানতে পারে অ্যাপস ছাড়াই যাত্রী পরিবহন করছিলের ভুক্তভোগী। সেইসঙ্গে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মামলার ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে। এরপর গত ১৫ সেপ্টেম্বর রামপুরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রথমে মো. ইমরান নামের একজন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করে। তার কাছ থেকে ছিনতাইকৃত ১টি মোবাইল ফোন ও ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত ৪টি চাকু উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার ইমরানের দেয়া তথ্যে বুধবার বাগেরহাটের চিতলমারী এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাসুম মোল্লা নামের আরেকজন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে ছিনতাইকৃত মোটর সাইকেলটি উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা ওই ঘটনায় সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে জানিয়ে ডিবি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হাফিজ আক্তার বলেন, সাধারণত পাঠাও এবং উবারের রাইড শেয়ারিংয়ে অ্যাপস্ ব্যবহার করে গাড়ি ভাড়া করা হয়। ছিনতাইকারীরা ঘটনার দিন যাত্রীবেশে অ্যাপস্ ব্যবহার না করে ভিকটিমের মোটর সাইকেল ভাড়া করে উত্তরার ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়। ভবিষ্যতে যাত্রী এবং চালক উভয়কেই রাইড শেয়ারিং অ্যাপস ব্যবহার করতে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, যখন কোনো যাত্রী পাঠাও কিংবা উবারের মতো মোটর সেবায় ওঠেন তখন কিন্তু পুলিশ জিজ্ঞাসা করে না কে, কীভাবে উঠছে। যখন বিপদ হয় বা দুর্ঘটনা ঘটে তখন পুলিশ জানতে পারে। সম্পাদনা : শোভন দত্ত