ভারতে কোভিড মন্দায় মন্দিরের খরচ মেটাতে মজুতকৃত স্বর্ণ বিক্রি
রাশিদ রিয়াজ : কোভিড মন্দায় ভারতের বিভিন্ন মন্দির বন্ধ থাকায় ভক্তদের দান দক্ষিণার পরিমানও আশঙ্কাজনক হারে কমেছে। উপরন্ত মন্দিরের খরচ মেটাতে এখন টান পড়েছে ভক্তদের দেয়া স্বর্ণের ওপর। তিরুবনন্তপুরমের শ্রী পদ্মনাভস্বামী মন্দির বাধ্য হয়ে ‘ভগবানের স্বর্ণ সম্পদ’ হিসেবে পরিচিত মজুদে বাধ্য হয়ে হাত দিচ্ছে। ২০১১ সালে ভারতের কেরালায় এ মন্দিরে স্বর্ণ ছাড়াও মনিমুক্তা, রতেœর বিশাল ভান্ডারের খোঁজ পাওয়া যায় যার মূল্য কয়েক বিলিয়ন ডলার। এসব ধনসম্পদের খোঁজ মেলে ষোড়শ শতাব্দীর একটি সিন্দুকে। ব্লুমবার্গ
সম্মিলিতভাবে ভারতের হিন্দু ধর্মের অনুসারীরা অন্তত ৩০ লাখ মন্দিরে দেব দেবিদের সন্মানে এসব স্বর্ণ ও রতœ দান করে থাকেন। শতাব্দীর পর শতাব্দী এসব ভক্তের দান ব্যাংকে রক্ষিত রয়েছে। এজন্যে ব্যাংকে অর্থ প্রদান করতে হয়। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের হিসেবে এসব মন্দিরে অন্তত ৪ হাজার টন মূল্যবান ধাতব ও মনিমুক্তা রয়েছে। মন্দিরগুলো পরিচালিত হয় বিভিন্ন ট্রাস্টের মাধ্যমে। কিন্তু খরচ কুলাতে না পেরে এই প্রথমবারের মত গচ্ছিত সম্পদের ওপর হাত দিতে হচ্ছে মন্দির কর্তৃপক্ষকে।
কেরালার দি ট্রাভানকোর দেবাস্বম বোর্ড বলছে ব্যাংকে গচ্ছিত স্বর্ণের জন্যেও সুদ পরিশোধ করতে হচ্ছে। কর্মীদের বেতন ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে প্রতিমাসে মন্দিরগুলোর প্রতি মাসে খরচ আছে ৫০ কোটি রুপি। বোর্ডের প্রেসিডেন্ট এন বসু বলছেন এত কঠিন সময়ে এর আগে কখনো পড়িনি। বাধ্য হয়ে মজুদকৃত স্বর্ণের ওপর হাত দিতে হচ্ছে। শবরিমালা মন্দির সহ ট্রাভানকোর দেবাস্বম বোর্ড ১২৪৮টি মন্দির পরিচালনা করে। এর মধ্যে সুদের পরিমান ১০ কোটি ডলার।
অলইন্ডিয়া জুয়েলারি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অনন্ত পদ্মনাবান বলেন স্বর্ণ ভারতীয়দের জন্যে শুধু আবেগপূর্ণ বিনিয়োগ নয়, এ ধাতবের মজুদ সরকারের স্বর্ণ আমদানি সাশ্রয়ে সহায়ক ও বৈদেশিক মুদ্রা মজুদ ও ভারতীয় রুপির মান সংরক্ষণ করে। তিনি জানান গত বছর ৬৪৭ টন স্বর্ণ আমদানি হয় যার ৬০ শতাংশ বিয়ের জন্যে অলঙ্কার বানাতে ব্যবহার হয়। সম্পাদনা : শোভন দত্ত