আমার দেশ • নগর সংস্করণ • প্রথম পাতা • লিড ২
পেঁয়াজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে চালের দাম
মো. আখতারুজ্জামান : পেঁয়াজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে চালের দাম। বর্তমানে রাজধানীতে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়। অন্যদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দাম বেড়েছে ৪ টাকা। চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারিভাবে ১০ টাকা কেজি দরে খোলা বাজারে চাল বিক্রির পরামর্শ বাজার সংশ্লিষ্টদের।
প্রতিনিয়ত কোনো না কোনো নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী অবস্থানে থাকে। সাধারণ ক্রেতারা সরকারের বাজার ব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছেন। তারা বলছেন, সরকার ভালো ভাবে বাজার মানিটরিং করলে ব্যবসায়ীরা নিত্য পণ্যের দাম এভাবে বাড়াতে পারতো না।
রোববার রাজধানীর বাজারগুলোতে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে। মোটা চালের দাম বেড়ে হয়েছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, যা আগে ছিল ৪২ থেকে ৪৮ টাকা। চিকন চালের দাম ৫২ থেকে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। সেই সঙ্গে সরু মিনিকেট ও নাজিরশাইল চালের দাম বেড়ে ৫৪ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি পাইজাম চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৬ থেকে ৫০ টাকা, যা আগে ছিল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। কুষ্টিয়ার চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন ধানের দাম বাড়ায় চালের দাম বেড়েছে। প্রতিকেজি চিকন চাল ৫২-৫৩ টাকা। মোটা চাল ৪০-৪২ টাকা প্রতিকেজি। কুষ্টিয়া শহরেরর রসিদ গ্রুপের মালিক চাল ব্যবসায়ী একেবি হারুন জানান, ধানের দাম বাড়ায় চালের দাম বেড়েছে। তবে যে হারে ধানের দাম বেড়েছে সেই হারে চালের দাম বাড়েনি। ১৫ দিনের ব্যবধানে ধানের দাম প্রতিমণে বেড়েছে দেড় থেকে ২০০ টাকা। বর্তমানে কুষ্টিয়া শহরে চিকন ধানের দাম প্রতিমণ ১ হাজার ৩৫০ টাকা এবং মোটা ধানের দাম ১ হাজার ১৫০ টাকা।
পুরান ঢাকার বাদামতলী ও বাবুবাজার চাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জানান, কেউ বিশ্বাস করতে চাবে না যে বর্তমানে প্রতিকেজিতে ১ থেকে দেড় টাকা লোকসা হচ্ছে। পাইকারি বাজারে ১ টাকা থেকে ৫০ পয়সা বেড়েছে। তবে বেশি দাম বেড়েছে খুচরা বাজারে। সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে প্রতিকেজিতে দাম বেড়েছে ৩ থেকে ৪ টাকা। তিনি বলেন, আমরা চাই দেশের কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পাক। কিন্তু এখন যে ধানের দাম বেড়েছে সেটা প্রকৃতি কৃষকরা পাচ্ছে কিনা ভাবার বিষয়। মোহাম্মদ নিজাম বলেন, সরকারের উচিৎ হবে এখন বাজারে ১০ টাকা কেজি দরে খোলা বাজারে চাল বিক্রি করা। এটা করতে না পরলে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। দাম বাড়লে যে আমাদের ব্যবসা ভালো হয় তা কিন্তু নয়। আমাদের এখন বিক্রি কমে গেছে। দিনাজপুরের ব্যবসায়ীরা জানান, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে মিনিকেট চাল প্রতিকেজিতে ৫০ থেকে বেড়ে ৫৩-৫৪ টাকা, বিআর-২৮ চাল ৪৬ টাকা থেকে বেড়ে ৪৮-৫০ টাকা, বিআর-২৯ চাল ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৪৬-৪৭ টাকা এবং গুটি স্বর্ণা চাল ৩৬ টাকা থেকে বেড়ে ৪৩ টাকায় বেচাকেনা চলছে।