
খেলা • প্রথম পাতা • শেষ পাতা
ম্যারাডোনার অ্যাকাউন্টে মাত্র ৮৬ লাখ টাকা

বিশ্বজিৎ দত্ত : নায়ক, ফুটবলার, ব্যাড বয়। সাড়ে ৫ ফুট উচ্চতার ম্যারাডোনা। আর্জেন্টিনার আইরেস প্রদেশে জন্ম নিয়েছিলেন এক গরীব পরিবাবে। আট ভাইবোনের মধ্যে ডিয়াগো আর্মান্দো ম্যারাডোনা পঞ্চম। ক্যারিয়ারের সর্ব্বোচ শিখরে থাকা অবস্থায় বারে বারে নাজেহাল হয়েছেন কর ফাঁকির অভিযোগে। মৃত্যুর পর অ্যাকাউন্টের ৮৬ লাখ টাকাই প্রমাণ করে তাকে কর ফাঁকির অভিযোগ দিয়ে আসলে হয়রানি করা হয়েছিল।
ক্যারিয়ারের শীর্ষে বিশ্বের সর্বাধিক বেতনের খেলোয়াড়দের একজন ছিলেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। সারা জীবন আয়ও করেছেন বিপুল। তবে নানা বিতর্কে হারিয়েছেনও অনেক। নেশায় বিপথে গেছেন, আইনি ঝামেলা কখনোই তার পিছু ছাড়েনি। আর্থিক ঝামেলায়ও পড়েছেন। শেষ সময়ে খুব বেশি সম্পদ হাতে ছিল না ফুটবলের এই কিংবদন্তির। গত বুধবার ৬০ বছর বয়সে মারা গেছেন ফুটবল জাদুকর ডিয়েগো ম্যারাডোনা।
আর্জেন্টিনার হয়ে করেছেন বিশ্বকাপ জয়। পেশাদার ক্যারিয়ারে ট্রান্সফার ফির বিশ্ব রেকর্ড গড়ে ঝড় তুলেছেন দুনিয়ায়। আয় করেছেন লাখ লাখ ডলার। প্রথমে বার্সেলোনা পরে নাপোলিতে যোগ দিয়ে আয় করছেন দেদার। একসময় বিশ্বের সর্বাধিক পারিশ্রমিকের খেলোয়াড় ছিলেন। অর্থ সব সময়ই তার পিছু ছুটেছে। ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস জানিয়েছে, নাপোলির সঙ্গে চুক্তির সময় ৩০ লাখ মার্কিন ডলার বেতনের পাশাপাশি বিভিন্ন পণ্যের বাণিজ্যিক দূত হয়ে ১ কোটি মার্কিন ডলার আয় করেছিলেন এই আর্জেন্টাইন তারকা। তার ওই ১ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলারের মূল্য এখনকার সময়ে প্রায় দ্বিগুণ, ২ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলারের সমান।
জীবনের বিভিন্ন সময় ফুটবলের সঙ্গে জড়িয়ে থেকে আয় করেছেন বিপুল অঙ্কের অর্থ। ২০১০ সালে বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। শেষ দিকে মেক্সিকোর একটি ক্লাবের কোচ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন, সেখানে ১১ মাস ছিলেন। প্রতি মাসে বেতন নিতেন ১৫ হাজার মার্কিন ডলার। অবশ্য ম্যারাডোনা যে মাপের খেলোয়াড় ছিলেন সে তুলনায় ১৫ হাজার ডলার কিছুই না। একসময় সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক প্রাপ্ত খেলোয়াড় কোচ হিসেবে মাত্র ১৫ হাজার ডলার বেতন পাচ্ছেন, এই একটি ব্যাপারই ম্যারাডোনার উত্থান-পতনের গোটা জীবনটাকে সবার সামনে তুলে ধরে।
মানুষটি বছরের পর বছর ধরে বিভিন্ন আর্থিক সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন। এক্সপ্রেস ডটকমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মৃত্যুর সময় এই ফুটবল কিংবদন্তির মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল মাত্র ১ লাখ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৮৬ লাখ টাকা।
