• প্রচ্ছদ
  • আমার দেশ
  • আমাদের বিশ্ব
  • খেলা
  • ইসলামি চিন্তা
  • অমৃত কথা
  • বিনোদন
  • আজকের পএিকা
    • প্রথম পাতা
    • শেষ পাতা
  • নগর সংস্করণ
  • মিনি কলাম
  • খ্রিস্টীয় দর্পণ
  • প্রবারণা পূর্ণিমা

আমার দেশ • নগর সংস্করণ • প্রথম পাতা • শেষ পাতা

ভুটানের-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী
প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে সুসম্পর্কে বিশ্বাস করে বাংলাদেশ

প্রকাশের সময় : December 7, 2020, 12:01 am

আপডেট সময় : December 6, 2020 at 8:19 pm

অর্থনীতি ডেস্ক : কোভিড-১৯ মহামারীর ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী দিনে কোভিড-১৯ মহামারীর প্রভাব প্রশমন এবং পুননির্মাণ পর্বে আরও শক্তিশালী আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জরুরি। রোববার ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) সই এবং দুই দেশের সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কোভিড-১৯ মহামারী আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে, সামনে এগোনোর পথে নতুন কিছু বাস্তবতা অস্বীকার করার উপায় নেই। সারাবিশ্বেই বিভিন্ন দেশ ও জাতি কোভিড-১৯ সংক্রমণের নতুন ধাপ অতিক্রম করছে। স্বাস্থ্যঝুঁকির পাশপাশি সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও জনজীবনের জন্য বড় ঝুঁকি তৈরি করছে।
এই অজানা শত্রু মোকাবেলায় বাংলাদেশ, ভুটানসহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর সাথে কাজ করছে। মহামারীর প্রভাব মোকাবেলায় আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিকভাবে একযোগে কাজ করার কোনো বিকল্প নেই।

ভুটান বাংলাদেশের জনগণের হৃদয়ে বিশেষ স্থানে এবং বাংলাদেশের ইতিহাসে স্থায়ী আসন জুড়ে রয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভুটানের ভূমিকার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, সেদিন শেখ জামাল বন্দি অবস্থা থেকে পালিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। কিন্তু আমার মা, ছোট বোন শেখ রেহানা, শেখ রাসেল, আমি এবং আমার তিন মাস বয়সী শিশু সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় বন্দি ছিলাম। যেদিন আমরা শুনলাম ভুটান বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে এটা এমন একটা অনুভূতি ছিল যেটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। সেই অনুভূতি ছিল উত্তেজনাকর, উৎসাহব্যঞ্জক ও আনন্দময়। সেই সময় ওই বন্দিশালায় কিছু না থাকায় মেঝেতে বসে ছিলাম। আমরা সব দুঃখ ভুলে গেলাম। আমরা হাসতে, চিৎকার করতে এবং কাঁদতে শুরু করেছিলাম। সেটা আমি কখনও ভুলতে পারব না। সেদিন আমরা দীর্ঘ সময় বন্দি অবস্থায় যে দুর্ভোগে ছিলাম তা ভুলে গিয়েছিলাম।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও ভুটানের ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্কের কথাও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। ‘আরও অনেক ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে আমরা পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে পারি। বাংলাদেশ সবসময় তার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। আমরা বাংলাদেশের চিলমারী বন্দরের উন্নয়ন করছি, নারায়ণগঞ্জের পানগাঁও ভুটানের জন্য উন্মুক্ত। শুধু তাই নয় আমাদের তিনটি বন্দর চট্টগ্রাম, মোংলা, পায়রা- ভুটান চাইলে ব্যবহার করতে পারবে। আমাদের সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে অঞ্চলিক বিমানবন্দর হিসেবে গড়ে তুলতে তার উন্নয়ন করা হচ্ছে, যা ভুটানের জন্য উন্মুক্ত।’
পারস্পরিক সুবিধা এবং নাগরিকদের সামগ্রিক উন্নতি ও কল্যাণের জন্য দুই দেশের মধ্যে অসাধারণ সম্পর্ককে আরও অর্থবহ করে তুলতে পিটিএ স্বাক্ষরিত হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
‘আমি বিশ্বাস করি এই চুক্তি কার্যকর হওয়ার পরে বাংলাদেশের জনগণ ভুটানের তরতাজা আপেল, কমলালেবুসহ অন্যান্য তাজা ফলমূল ও শাকসবজি গ্রহণের সুযোগ পাবে এবং ভুটানের ফ্যাশন সচেতন মানুষ বাংলাদেশ থেকে আরও মানসম্মত পোশাক নিতে পারবেন। বাংলাদেশের অবকাঠামো প্রকল্পগুলো ভুটানের পাথর ব্যবহারে লাভবান হতে পারে এবং বাংলাদেশে ওষুধগুলো ভুটানের স্বাস্থ্যখাতে অবদান রাখতে পারে।’
ভুটান তাদের চতুর্থ রাজা জিগমে সিংগে ওয়াংচুকের নির্দেশনা অনুসরণ করে একটি গণতান্ত্রিক, আধুনিক এবং প্রগতিশীল দেশে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে দেশটির পঞ্চম রাজা তারই পুত্র এবং যোগ্য উত্তরসূরি জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে তার পিতার নীতিগুলো অব্যাহত রেখেছেন বলেও জানান শেখ হাসিনা।
‘বাংলাদেশেও একই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে এবং তা হল দেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করা এবং নাগরিকদের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ দেশ উপহার দেওয়া, যা জাতির পিতা স্বপ্ন দেখেছিলেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক শক্তিশালী, অর্থনীতি একটি সুদৃঢ় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। দেশে আইনের শাসন ও মানবাধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত এবং আমরা সব ধরনের সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি।’ খাদ্য ও জ্বালানি সুরক্ষা, শিক্ষা, দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির কথাও তুলে ধরেন তিনি।
‘আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে কাজ করে যাওয়ার পাশপাশি এই অঞ্চলকে আরও উন্নত করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সরকারের উদ্যোগগুলোকে শক্তিশালী করতে বন্ধু ও প্রতিবেশীদের মূল্যবান সহযোগিতা চাই।’
ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভুটান প্রান্ত থেকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং অংশ নেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সমৃদ্ধ দেশ গড়তে প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে সুসম্পর্কে বিশ্বাস করে বাংলাদেশ। কোভিডের প্রকোপ হ্রাসে শক্তিশালী আঞ্চলিক, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা দরকার।
বাংলাদেশ-ভুটান অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) স্বাক্ষর এবং দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি বলেন, এই মহামারীটি স্বাস্থ্য সংকট ছাড়িয়ে আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা ও জীবন-জীবিকার ওপর ক্রমবর্ধমান হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এই অজানা শত্রুর প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় ভুটান এবং দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য প্রতিবেশীদের সাথে বাংলাদেশ দারুণ সহযোগিতা করেছে।’

এসময় তিনি আরো বলেন, আঞ্চলিক সুদৃঢ় যোগাযোগ অবকাঠামো সমৃদ্ধির নতুন দুয়ার উন্মোচন করবে। করোনা পরবর্তী সময়ে টিকে থাকার জন্য আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগের কোনো বিকল্প নেই।
এছাড়াও তিনি আরো বলেন, ভুটান চাইলে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, মংলা, পায়রা বন্দরসহ সৈয়দপুর বিমান বন্দর ব্যবহার করতে পারে।
এ সময় বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমি প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন এবং ভুটান প্রান্ত থেকে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং, পররাষ্ট্রমন্ত্রী টান্ডি দর্জি উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : বিডিনিউজ, সময়টিভি, টিবিএস। গ্রন্থনা : কেএম নাহিদ।

সম্পাদক

নাসিমা খান মন্টি

09617175101, 01712158807

[email protected]

১৩২৭, তেজগাঁও শিল্প এলাকা (তৃতীয় তলা) ঢাকা ১২০৮, বাংলাদেশ। ( প্রগতির মোড় থেকে উত্তর দিকে)