
সর্বোচ্চ রেকর্ডে বিটকয়েন ২৫ হাজার ডলারে, এবছরেই বেড়েছে ২২৪ শতাংশ

রাশিদ রিয়াজ : ক্রিপ্টোকারেন্সি হিসেবে বিটকয়েন এখন বিশে^র সবচেয়ে জনপ্রিয় মুদ্রা হয়ে উঠছে। এটি কাগুজে বা দৃশ্যমান নয়। প্রযুক্তিগতভাবে বাইনান্স পদ্ধতিতে এ মুদ্রা লেনদেন হয়ে থাকে। গত ১৭ ডিসেম্বর বিটকয়েনের মূল্য ২০ শতাংশ বেড়ে ২৪ হাজার ডলারে ওঠে। ২১ ডিসেম্বর তা ২২ হাজার ১২৪ ডলারে নামে। ফের তা বৃদ্ধি পেয়ে সর্বকালের রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়। ব্লকচেইন ভিত্তিক নেটওয়ার্কে বিটকয়েনের লেনদেন হয় ২০০৯ সালে। কোনো দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা অনুসরণ নয় বরং দু’পক্ষের মধ্যে প্রযুক্তিভিত্তিক এ মুদ্রার লেনদেন স্থানান্তরযোগ্য। বর্তমানে বিশে^র ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজারে বিটকয়েনের অংশীদারিত্ব রয়েছে ৬৫.৬ শতাংশ। গত বছর বিটকয়েনের মূল্য ওঠানামা করলেও তা অনেকের নজর এড়িয়ে যায় কিন্তু গত সপ্তাহে বিটকয়েনের নাটকীয় দর অতীতের সকল রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যায়। এখন বিশে^র কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক লেনদেনে বিটকয়েন প্রবল উপস্থিতি জানান দিচ্ছে। আরটি, সিএনএন
এক সময়ে বিটকয়েনের দরে মারাত্মক পতনে এর অস্তিত্ব টেকসই হবে না বলেও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা অভিমত দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই দুর্বলতা কাটিয়ে বিটকয়েন এটি যে সম্পদ হিসেবে টিকে থাকার যোগ্যতা রাখে তা প্রমাণ হয়েছে। বিটকয়েনের দর অতীতে যেমন ৮০ শতাংশ পতন হয়েছিল তেমনে এ বছর এর মূল্যস্ফীতি ঘটেছে ২২৪ শতাংশ। এর ফলে বিটকয়েনের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে অস্বাভাবিকভাবে। ২০১৩ সালের মার্চ নাগাদ বিটকয়েনের বাজার মূলধন ১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে। এরপর দু’দফা পতন ঘটে বিটকয়েনের মূল্যে। তারপর তা ফের মূল্যস্ফীতির দিকে এগিয়ে যায়। কিন্তু এখনো বিটকয়েন নিয়ে আর্থিক বাজারে সন্দেহ দূর হয়নি পুরোপুরি। এ ডিজিটাল কয়েনের সরবরাহের গ্যারান্টি নিয়ে অনেকের অনেক ধরনের প্রশ্ন রয়েছে। বিটকয়েন সম্পদ হিসেবে কৃত্রিমভাবে বাজারে এর সরবরাহ সীমিত রাখছে কি না সে নিয়েও প্রশ্ন আছে।
ডিজিটাল টোকেন হিসেবে বিটকয়েন সংখ্যায় সর্বোচ্চ ২১ মিলিয়নে বৃদ্ধি পেতে পারে ২১৪০ সাল নাগাদ। তারপরও বিটকয়েন প্রচলিত মুদ্রা হিসেবে ব্যাপকভাবে গ্রহণ করা তো দূরের কথা লেনদেনের একক হিসেবে এখনো তা যথেষ্ট অগ্রগতির পর্যায়ে পৌঁছেনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মতই বিটকয়েনের মূল্য এর লেনদেনকারীরা চাহিদা ও সরবরাহের ভিত্তিতে নির্ধারণ করে। এখানে বিটকয়েনের ব্যবহারকারীর সংখ্যা একটি ভূমিকা পালন করে। ফলে বিটকয়েন একটি অনুমানমূলক সম্পদ হিসেবে রয়ে গেছে। তবে সময়ের সাথে সাথে এটি সম্পদ হিসেবে সংরক্ষণ করার তাগিদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিটকয়েন নিযে অস্থিরতা হ্রাসেরও তাগিদ রয়েছে। এর মূল্যস্ফীতি নির্ভরযোগ্য কি না সে নিয়েও কথা রয়েছে কারণ মূল্য যতই বৃদ্ধি পাক পরবর্তীতের এর ব্যাপক পতন থেকে বিনিয়োগকারী কিভাবে নিজেকে রক্ষা করতে পারে তার কৌশল নিয়ে বাজি ধরার পরিবর্তে নিশ্চয়তার দাবি অনেক বেশি।
