
২০২০ সালে জলবায়ুজনিত দুর্যোগে বিশ্বে ক্ষতি ১৫ হাজার কোটি ডলার

লিহান লিমা : ২০২০ সালে জলবায়ুর প্রতিকূল অবস্থার কারণে বিশ্বকে চরম মূল্য দিতে হয়েছে। চ্যারিটি সংস্থা ক্রিশ্চিয়ান এইড জানায়, এ বছর জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট ১০টি প্রাকৃতিক দুর্যোগে হওয়া ক্ষয়ক্ষতির বীমাকৃত মূল্য প্রায় ১৫ হাজার কোটি ডলার। প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন ও ১ কোটি ৩৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। বিবিসি, গার্ডিয়ান
এই ১০টি দুর্যোগের ৬টির শিকার হয়েছে এশিয়া। চীন ও ভারতের বন্যায় ৪ হাজার কোটি ডলারের বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। টানা এক মাসের মৌসুমি বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যায় ভারতে ২ হাজারের বেশি প্রাণহানি হয়েছে, বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখো মানুষ। ২০২০ সালে বন্যায় বাংলাদেশের প্রায় এক চতুর্থাংশ পানির নিচে তলিয়ে গিয়েছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় আম্পানে কয়েকদিনেই ১৩শ কোটি ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে হ্যারিকেন ও দাবানলে ৬ হাজার কোটি ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার দাবানলে দেশটির ২০ ভাগ বন পুড়ে গিয়েছে, মারা গিয়েছেন হাজারো বন্যপ্রাণী। আফ্রিকায় শস্যক্ষেত ও সবজি বাগানে পঙ্গপালের আক্রমণের ফলে ৮৫০ কোটি ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জাতিসংঘ বলেছে, মধ্যপ্রাচ্য ও হর্ন অব আফ্রিকায় সাম্প্রতিক বছরে অপ্রত্যাশিত ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে পঙ্গপালের আক্রমণ বেড়েছে। ফেব্রুয়ারিতে আয়ারল্যান্ড, ব্রিটেন ও কয়েকটি ইউরোপের দেশে আঘাত হেনেছে ঝড় সিয়ারা। এতে প্রায় ১৪জন প্রাণ হারিয়েছেন। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ২৭০ কোটি ডলারের। আটলান্টিকের হ্যারিকেনে প্রায় ৪০০ প্রাণহানি ও ৪ হাজার ১০০ কোটি ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দক্ষিণ সুদানে বন্যায় ১৩৮জনের প্রাণহানি হয়েছে, প্রায় পুরো বছরের খাদ্যশস্য পানিতে ভেসে গিয়েছে। যার ডলার হিসেবে ক্ষতির পরিমাপ করা কঠিন।
ক্রিশ্চিয়ান এইড জানায়, এই প্রতিবেদনে শুধুমাত্র প্রাণ ও সম্পদের বীমাকৃত মূল্যের ক্ষতি ধরা হয়েছে। বছর জুড়ে হওয়া প্রাকৃতিক দুর্যোগের বাস্তবিক ক্ষতির পরিমাণ আরো অনেক বেশি। কারণ বেশিরভাগ প্রাণ ও সম্পদই অবীমাকৃত। গত মাসে দ্য ল্যানসেটের প্রতিবেদনে বলা হয়, নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে হওয়া আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির মাত্র ৪ শতাংশ বীমাকৃত, যেখানে উচ্চ-আয়ের দেশগুলোতে এই হার ৬০ শতাংশ। রেজা
