• প্রচ্ছদ
  • আমার দেশ
  • আমাদের বিশ্ব
  • খেলা
  • ইসলামি চিন্তা
  • অমৃত কথা
  • বিনোদন
  • আজকের পএিকা
    • প্রথম পাতা
    • শেষ পাতা
  • নগর সংস্করণ
  • মিনি কলাম
  • খ্রিস্টীয় দর্পণ
  • প্রবারণা পূর্ণিমা

প্রথম পাতা • মিনি কলাম

আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পদ্মা সেতুর প্রভাব : মানবসভ্যতার এ-এক নতুন যাত্রা

প্রকাশের সময় : December 30, 2020, 12:01 am

আপডেট সময় : December 29, 2020 at 10:47 pm

ওয়ালিউর রহমান

প্রায় ১৭ কোটি মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতু বাস্তবায়িত হতে চলেছে। নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে, সব দেশ-বিদেশি ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে, অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগকে পেছনে ফেলে ২০১৪ সালের ১২ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে স্বপ্নের বীজ বপন করেছিলেন, পদ্মার পাড়ে সেই স্বপ্ন এখন একেবারে তীরে ভেড়ার অপেক্ষায়। পদ্মা বহুমুখী সেতু কেবল দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নয়, পুরো বাংলাদেশের অর্থনীতি এক নতুন দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেবে।
রাজনৈতিক, কারিগরি ও আর্থিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে আমাদের প্রাণপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী যখন পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজে হাত দিলেন তখন পদ্মা সেতু ছিলো এক অসম্ভব স্বপ্নের পরিকল্পনা। এই করোনাকালীন বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে দেশ অতিবাহিত করার পরও ৬.১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে পদ্মা সেতুর মূল নির্মাণ কাজের ৯১ শতাংশ এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে, যা ইতিহাসে বিরল।
বিশে^র ১১ তম বৃহত্তম পদ্মা সেতু বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে আসবে। সড়ক ও রেলÑ দুই পথেই দক্ষিণ বাংলার মানুষ অল্প সময়ে রাজধানীতে যাতায়াত করতে পারবে। এর ফলে এই প্রথমবারের মতো পুরো দেশ একটি সমন্বিত যোগাযোগ কাঠামোতে চলে আসবে। পদ্মা সেতু নির্মাণের ফলে রাজধানীর সাথে দক্ষিণ বাংলার ২১টি জেলার কৃষক, মৎস্যজীবী, তাঁতী, ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ী দক্ষিণ বাংলার সকল শ্রেণির মানুষ অনায়াসে সংযুক্ত হতে পারবে সড়ক ও রেল যোগাযোগের মাধ্যমে। পদ্মা সেতুকে ঘিরে বহু প্রকল্পের পাশাপাশি দুই পারে সিঙ্গাপুর ও চীনের সাংহাই নগরের আদলে শহর গড়ে তোলার কথাবার্তা হচ্ছে। নদীর দুই তীরে আধুনিক নগর গড়ে তোলা সম্ভব বলে মত ব্যক্ত করছেন বিশ্লেষকরা। এখানে থাকবে আধুনিক আবাসন, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ সব সুযোগ-সুবিধা। পদ্মা সেতুর কারণে রপ্তানি বাণিজ্যের লিডটাইম কমে যাবে। যেখানে ব্যবসায়ীদের রিটার্ন বা লাভ বেড়ে যাবে। অর্থনীতিতে যুক্ত হবে বহুমুখিতা। বাড়বে মানুষের আয়-রোজগার এবং ভোগ ও চাহিদা। আর সে কারণেই দক্ষিণাঞ্চলে বাড়বে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ।
অর্থনীতিবিদরা হিসাব করছেন যে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর দক্ষিণাঞ্চলের জিডিপি অন্তত ২ শতাংশ বাড়বে। সামগ্রিকভাবে তখন দেশের জিডিপি বাড়বে অন্তত আরো ১ শতাংশ। ট্রান্স এশিয়ান রেল ও সড়ক এই সেতুর মাধ্যমেই যুক্ত হবে। এডিবির মতানুসারে ২০৩০ সালের মধ্যেই পাঁচ কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থানের সুবিধা পাবে এই সেতুর কল্যাণে। দক্ষিণাঞ্চলের দারিদ্র্য প্রতিবছর ১ শতাংশেরও বেশি হারে কমবে। এই পদ্মা সেতু বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে আরও একধাপ সামনে এগিয়ে যাবে। গ্রাম বাংলার সোনার মানুষগুলোর জীবন উন্নত করে দেবে। লেখক : সাবেক রাষ্ট্রদূত

সম্পাদক

নাসিমা খান মন্টি

09617175101, 01712158807

[email protected]

১৩২৭, তেজগাঁও শিল্প এলাকা (তৃতীয় তলা) ঢাকা ১২০৮, বাংলাদেশ। ( প্রগতির মোড় থেকে উত্তর দিকে)