• প্রচ্ছদ
  • আমার দেশ
  • আমাদের বিশ্ব
  • খেলা
  • ইসলামি চিন্তা
  • অমৃত কথা
  • বিনোদন
  • আজকের পএিকা
    • প্রথম পাতা
    • শেষ পাতা
  • নগর সংস্করণ
  • মিনি কলাম
  • খ্রিস্টীয় দর্পণ
  • প্রবারণা পূর্ণিমা

আমার দেশ • প্রথম পাতা • লিড ১

প্রবৃদ্ধির হার কমেছে
অর্থবছরের ছয়মাসে রপ্তানি আয় ১,৯২৩ কোটি ৩৪ লাখ ডলার

প্রকাশের সময় : January 10, 2021, 12:01 am

আপডেট সময় : January 9, 2021 at 8:27 pm

সোহেল রহমান : করোনার প্রেক্ষাপটে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় পিছিয়ে পড়েছে রপ্তানি আয়। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ছয়মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৯৬৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার। এর বিপরীতে রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯২৩ কোটি ৩৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার। এটি লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৪৪ কোটি ২৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার (২ দশমিক ২৫ শতাংশ) কম। অন্যদিকে এর আগের অর্থবছরে (২০১৯-২০) একই সময়ে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৯৩০ কোটি ২১ লাখ ৬০ হাজার ডলার। অর্থাৎ চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের রপ্তানি আয় আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় দশমিক ৩৬ শতাংশ কম।
বাণিজ্য মন্ত্রালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রমতে, মূলত: করোনা জনিত প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য চাহিদা ও পণ্য মূল্য কমে যাওয়ার কারণে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। সর্বশেষ গত ডিসেম্বরে একক মাস হিসাবে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ১৩ শতাংশ। ডিসেম্বরে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৫২ কোটি ৬০ লাখ ডলার। এর বিপরীতে রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৩০ কোটি ৯৮ লাখ ৬০ হাজার ডলার। এটি এর আগের অর্থবছরের ডিসেম্বরের তুলনায় ৬ দশমিক ১১ শতাংশ কম। ওই সময় (ডিসেম্বর ২০১৯) রপ্তানি আয় হয়েছিল ৩৫২ কোটি ৫০ লাখ ৯০ হাজার ডলার।
ইপিবি সূত্রে জানা যায়, আলোচ্য সময়ে দেশের পোশাক খাতে সার্বিক রপ্তানি আগের বছরের একই সময়ে তুলনায় কমেছে প্রায় ৩ শতাংশ। পোশাক খাতের তিনটি উপখাতের মধ্যে শুধু প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাকের রপ্তানি কমেছে ১০ দশমিক ২২ শতাংশ। অনদিকে নীট ওয়্যার ও হোম টেক্সটাইল খাতে আগের বছরের তুলনায় রপ্তানি বেড়েছে যথাক্রমে ৩ দশমিক ৯০ শতাংশ ও ৪৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ। একই সঙ্গে এ দু’টি উপখাত ছয় মাসের লক্ষ্যমাত্রার অধিক রপ্তানি আয় করেছে।
অন্যদিকে বিশেষায়িত বস্ত্র খাতের রপ্তানি আয়ও গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ কমেছে। এ খাতের চারটি উপখাতের মধ্যে বিশেষ ওভেন ফ্রেবিক ছাড়া অপর তিনটি উপখাত টেরি-টাওয়েল, নিটেড ফেব্রিক ও অন্যান্য উপখাতে রপ্তানি আয় কমেছে।
এছাড়া প্লাস্টিক পণ্য খাতে ৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য খাতে ৬ দশমিক ২৪ শতাংশ, বিভিন্ন ধরনের নির্মাণ সামগ্রী ৪৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ, সিরামিক পণ্য ১৬ দশমিক ২৬ শতাংশ, জাহাজ রপ্তানি খাতে ৫৮ দশমিক ৮২ শতাংশ রপ্তানি আয় কমেছে। ইপিবি’র তথ্যমতে, অন্যদিকে আলোচ্য সময়ে পাট ও পাটজাত দ্রব্য খাতে ৩০ দশমিক ৫৬ শতাংশ, কার্পেট রপ্তানিতে ৫৯ দশমিক ২৭ শতাংশ, রাবার খাতে ৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ, অন্যান্য পাদুকা ৯ দশমিক ১৩ শতাংশ, হস্তশিল্প ৪৮ দশমিক ৭ শতাংশ, গ্লাস ও গ্লাস ওয়্যার ১৮৬ দশমিক ৪২ শতাংশ, প্রকৌশল দ্রব্য ৫৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ ও ওষুধ রপ্তানি ১৭ দশমিক ১৫ শতাংশ বেড়েছে।
দু’-তিনটি উপখাত ছাড়া সার্বিকভাবে প্রাথমিক পণ্য খাতে রপ্তানি আয় ইতিবাচক হলেও আগের বছরের তুলনায় রপ্তানি আয় ৩ দশমিক ৭১ শতাংশ কমেছে। এর মধ্যে হিমায়িত মৎস্য খাতে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৫৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ। অন্যদিকে জীবিত মৎস্য, কাঁকড়া, চিংড়ি, সবজি ও ফল রপ্তানি কমেছে।

সম্পাদক

নাসিমা খান মন্টি

09617175101, 01712158807

[email protected]

১৩২৭, তেজগাঁও শিল্প এলাকা (তৃতীয় তলা) ঢাকা ১২০৮, বাংলাদেশ। ( প্রগতির মোড় থেকে উত্তর দিকে)