মো. আখতারুজ্জামান : বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বৈশি^ক অর্থনীতি প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে, যার আলোকে বৈশি^ক বাজারে নিজেদের রপ্তানি পণ্যের স্থান ধরে রাখা। নতুন বাজার সম্প্রসারণের জন্য পণ্যের বহুমুখীকরণ আবশ্যক। এক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক গবেষণা কার্যক্রম বৃদ্ধির কোন বিকল্প নেই। দেশের এসএমই খাত অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি, যারা জিডিপিতে প্রায় ২৬ শতাংশ অবদান রাখে। এ খাতের বিকাশে সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। মন্ত্রী দেশের রপ্তানিমুখী পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে সম্ভাবনাময় সকল খাতসমূহকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ^াস প্রদান করেন।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান এলডিসি উত্তর সময়ে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় কৌশলপত্র প্রণয়ন করা। একই সাথে রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ ও বাজার সম্প্রসারণে পোষাক খাতের ন্যায় সম্ভাবনাময় রপ্তানিমুখী পণ্যের জন্য আর্থিক এবং প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানান। তিনি ব্রেক্সিট পরবর্তী সময়ে যুক্তরাজ্যের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরো সম্প্রসারণের লক্ষ্যে যুক্তরাজ্যের সাথে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।
ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, কোম্পানি আইনের আওতায়, একক ব্যক্তি মালিকানাধীন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নিবন্ধনের ক্ষেত্রে মূলধনের পরিমাণ ২৫ লাখ টাকা ও বিক্রয় সীমা ১ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশের আরো নতুন উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে এ সীমা পুনঃবিবেচনার আহ্বান জানান। তিনি দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সার্বিক উন্নয়নে একটি সমন্বিত বাণিজ্য নীতিমালা প্রণয়নের প্রস্তাব করেন।
রিজওয়ান রাহমান বলেন, করোনা মহামারী মোকাবেলায় সরকার ঘোষিত প্রণোদনা অত্যন্ত সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত, তবে এর আওতায় প্রাপ্ত ঋণ সুবিধা ফেরতের সীমা নির্ধারিত সময়ের চেয়ে কমপক্ষে ১ বছর বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় বেসরকারিখাত দেশের রপ্তানি এবং বিনিয়োগ অনেকাংশে বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবে। ডিসিসিআই মহাসচিব আফসারুল আরিফিন এবং সচিব মো. জয়নাল আব্দীন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সাথে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)-এর নবনির্বাচিত সভাপতি রিজওয়ান রাহমান সোমবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি এন কেএ মবিন এবং সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন। রেজা