• প্রচ্ছদ
  • আমার দেশ
  • আমাদের বিশ্ব
  • খেলা
  • ইসলামি চিন্তা
  • অমৃত কথা
  • বিনোদন
  • আজকের পএিকা
    • প্রথম পাতা
    • শেষ পাতা
  • নগর সংস্করণ
  • মিনি কলাম
  • খ্রিস্টীয় দর্পণ
  • প্রবারণা পূর্ণিমা

প্রথম পাতা • লিড ১

এলডিসি থেকে বের হতে দেরি, মিশ্র প্রতিক্রিয়া
২০২৬ পর্যন্ত গরিবের তালিকায় থাকা দুঃখজনক বলছেন অর্থনীতিবিদরা

প্রকাশের সময় : January 14, 2021, 12:01 am

আপডেট সময় : January 13, 2021 at 9:06 pm

বিশ^জিৎ দত্ত : স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বাংলাদেশের বের হয়ে যাওয়ার দুই বছর পিছনোর বিষয়ে অর্থনীতিবিদরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। অর্থনীতিবিদ ড. আবুল বারকাত পুরো বিষয়টিকেই একটি ধাপ্পাবাজি বলেছেন। তিনি মনে করেন, বাংলাদেশের মানুষের প্রকৃত মাথাপিছু আয় বাড়েনি। তার মতে যেখানে আয় বৈষম্য পালমা রেটিং ৩-এর চেয়ে বেশি সেখানে কিছু লোকের আয় বেড়েছে। তা দিয়ে প্রকৃত আয় নিরুপন হয় না। সুতরাং এলডিসি থেকে বের হওয়ার প্রধান যে শর্ত মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি তা সঠিক নয়। মানুষের প্রকৃত সমস্যাকে আড়াল করতে এসব স্বল্পোন্নত, উন্নত তত্ত্ব হাজির করেছে রাজনীতিবিদ ও আমলারা।
অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, কোভিডের কারণে আমাদের অর্থনীতির গতি কমেছে। কিন্তু এলডিসি থেকে উত্তরণের শর্তের কোন ব্যাঘাত হয়নি। মনে হয় সরকার চায়নি এখনি এলডিসি থেকে বের হয়ে যাই। তাই জাতিসংঘের সিডিপির সঙ্গে আলোচনা করেই তারা দুই বছর উত্তরণের সময় বাড়িয়েছে। বাংলাদেশ আগেই ৬ বছরের জন্য বাণিজ্য সুবিধাগুলো চেয়েছিল। এই সুবিধাগুলো হলো ইউরোপীয় ইউনিয়নে শুল্কমুক্ত কোটা, ফার্মাসিউটিক্যাল খাতে সুবিধা, তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে নানা সুবিধা। এখন ২ বছর বাড়িয়ে সময় বাড়িয়ে ও পরের ৩ বছর যে সুবিধা অব্যাহত থাকবে। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি দুঃখ পেয়েছি। কারণ বাংলাদেশের মতো এমন অর্থনীতির কোনো দেশ আর গরীবের তালিকায় নেই। আমরা গরিব না হয়েও আরো ২ বছর গরিব থেকে যাবো। এটা সত্যিই মানহানিকর।
সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ সিডিপিকে অনুরোধ করেছে ২ বছর সময় বৃদ্ধির জন্য। যেমন নেপাল ২০১৫ সালে সিডিপিকে অনুরোধ করেছিল তাদের উত্তরণের সময় ২০১৮ সাল পর্যন্ত পিছিয়ে দেয়ার। সিডিপি হয়তো বাংলাদেশের সঙ্গে আরো যেসব ১১টি দেশ রয়েছে সবার সময়ই হয়তো বাড়িয়ে দেবে। সিডিপি তাদের রেটিংগুলো ৩ বছর অন্তর রিভিউ করে। সেখানে বাংলাদেশের রিভিউ হয়েছে ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালের অর্থনীতির। তখন কোভিড ছিল না। কিন্তু কোভিডের কারণে অর্থনীতির ভঙ্গুর রয়েছে বলে সিডিপি মনে করছে। তাই তারা বাংলাদেশের অনুরোধে ২ বছর সময় বৃদ্ধিতে সম্মতি দিয়েছে। স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় ২০২৪ সালে প্রবেশ করবে এটি এক বছর আগেও নির্ধারিত ছিল। কারণ যে ৩টি সূচকের মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ হয় তার ৩টি শর্তই বাংলাদেশ পূরণ করেছিল। এর একটি ছিল, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, মানবসম্পদের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় বর্তমানে প্রায় ২ হাজার ডলার। এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য মাথা পিছু দরকার ১ হাজার ২৩০ ডলার। মানবসম্পদ উন্নয়নে ৬৬ পয়েন্ট দরকার কিন্তু বাংলাদেশের রয়েছে ৭২. ৮ পয়েণ্টে। বর্তমানে কোনো ধরনের অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা বাংলাদেশের নেই।
গত মঙ্গলবার সরকারের নীতি নির্ধারক ও জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্টের (সিডিপি) মধ্যে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশের উত্তরণের বিষয়ে একটি সভা হয়। সেখানে করোনার কারণে সারা বিশে^র পরিস্থিতি ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থায় তার প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে আলোচনার পর বাংলাদেশ সিডিপির কাছে আরো ২ বছর সময় চায়। এই সভায় বাংলাদেশ নিশ্চুপ থাকলেও ২০২৪ সালেই বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হতো। আগামী মাসে অনুষ্ঠিত সিডিপির ত্রিবার্ষিক সভার আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উত্তরণের সময় ২০২৬ করার সুপারিশ উপস্থাপন করবে।

সম্পাদক

নাসিমা খান মন্টি

09617175101, 01712158807

[email protected]

১৩২৭, তেজগাঁও শিল্প এলাকা (তৃতীয় তলা) ঢাকা ১২০৮, বাংলাদেশ। ( প্রগতির মোড় থেকে উত্তর দিকে)