৩৪০ কোটি ডলারের খুচরা ব্যবসা কিনতে অ্যামাজনের পক্ষে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের রায়
রাশিদ রিয়াজ : ফিউচার গ্রæপের ৩৪০ কোটি ডলারের খুচরো ব্যবসা কিনে নিতে চেয়েছিলেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের কর্ণধার মুকেশ আম্বানি। টাকার অঙ্কে ওই ব্যবসার মূল্য প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা। অ্যামাজন দাবি করে, ফিউচার গ্রæপের সঙ্গে আগেই তাদের চুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ফিউচার তার খুচরো ব্যবসা রিলায়েন্সকে বিক্রি করতে পারে না। ভারতের সুপ্রিম কোর্ট অ্যামাজনের এই আর্জি মেনে নিয়েছে। রিলায়েন্সের কাছে ফিউচারের ৩.৪ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ বিক্রির অনুমোদন বাতিল করে দিয়েছে আদালত। এর ফলে ভারতে বিদেশি বিনিয়োগের পথ আরো সম্প্রসারিত হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। যদিও ভারতের খুচরা বাজারে অ্যামাজন আধিপত্য বিস্তার করতে যাচ্ছে এমন অভিযোগ তুলেছেন দেশটির স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। ভারতের খুচরা বাজারের আকার কম করে হলেও ১ ট্রিলিয়ন বা ১ লাখ কোটি ডলারের। বøুমবার্গ, দি প্রিন্ট
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট অ্যামাজনের আবেদনের সঙ্গে একমত প্রকাশ করে এর আগে দেওয়া নিম্ন আদালতের রায় বাতিল করে। পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত আদালত ফিউচারের লেনদেন অনুমোদনের কাজ বিরত রাখার কথাও বলেছে। একই সঙ্গে আদালত ফিউচার রিটেইল লিমিটেডকে অ্যামাজনের আবেদনের প্রেক্ষিতে লিখিত বিবৃতি দিতে নোটিশ জারি করেছে। তবে ৫ সপ্তাহ পর আদালত এ মামলা নিয়ে ফের শুনানি শুরু করবে।
গত অক্টোবরে সিঙ্গাপুরে এক সালিশী আদালতে ফিউচার ও রিলায়েন্সের মধ্যেকার চুক্তির ওপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেয়। অ্যামাজন সিঙ্গাপুরের আদালতে ফিউচার গ্রæপের বিরুদ্ধে অংশীদারিত্ব চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনে। তবে ফিউচারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের এ রায় তাদের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে হুমকি এবং ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে গ্রæপটি দেউলিয়াত্ব ঠেকাতে পারছে না। কিন্তু অ্যামাজন দাবি করে, রিলায়েন্সের আগেই ফিউচার গ্রæপের সঙ্গে তাদের চুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ফিউচার তার খুচরো ব্যবসা রিলায়েন্সকে বিক্রি করতে পারে না। সিঙ্গাপুরের আদালত এজন্যেই রিলায়েন্সের কর্ণধার মুকেশ আম্বানিকে ওই ব্যবসা কিনতে বাধা দেয়। কিন্তু আরবিট্রেটরের সিদ্ধান্ত নাকচ করে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গেলে অ্যামাজনের পক্ষেই ফের রায় পাওয়া গেল।
গতবছর আগস্ট মাসে ফিউচার গ্রæপ তার খুচরো ব্যবসা রিলায়েন্সকে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয়। অ্যামাজন বলে, ২০১৯ সালে তাদের সঙ্গে ফিউচারের যে চুক্তি হয়েছিল তাতে বলা হয়েছিল, কয়েকটি কোম্পানিকে ফিউচার তার সম্পত্তি বেচতে পারবে না। তার মধ্যে রিলায়েন্সও ছিল। সুতরাং রিলায়েন্সকে খুচরো ব্যবসা বিক্রি করলে ফিউচার চুক্তিভঙ্গ করবে। ফিউচারের খুচরো ব্যবসা আয়তনে ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম। ভারতে তাদের ১৭শ স্টোর আছে। তাদের বক্তব্য, রিলায়েন্সের সঙ্গে যদি তাদের চুক্তি বাস্তবায়িত না হয়, তাহলে তারা লিকুইডেশনের দিকে যেতে বাধ্য হবে। সুপ্রিম কোর্টে অ্যামাজন বলে, আপাতত ফিউচার গ্রæপের সঙ্গে রিলায়েন্সের চুক্তি বাস্তবায়িত হতে না দিলেই সব পক্ষের স্বার্থরক্ষা করা যাবে। মার্কিন ধনকুবের জেফ বেজোসের কোম্পানি অ্যামাজনের দাবি, ফিউচার ও রিলায়েন্স গ্রæপ যদি ওই চুক্তি কার্যকর করতে শুরু করে, তাদের থামানো মুশকিল হবে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে ভারতে বিনিয়োগে ইচ্ছুক বিদেশি কোম্পানিগুলোর ওপর। তারা ভারতে বিনিয়োগে নিরুৎসাহীত হয়ে পড়বে।
এদিকে গত বছর রিলায়েন্সের খুচরো ব্যবসায় জেনারেল আটলান্টিক নামে এক কোম্পানি এরপর পৃষ্ঠা ২, সারি ৩