ভারতে রেকর্ড গম উৎপাদন
রাশিদ রিয়াজ : উচ্চ ফলনশীল আবাদ, অনুকূল আবহাওয়া ও পোকা দমনে মনোযোগ দেওয়ার পর এধরনের রেকর্ড পরিমাণ গম উৎপাদন হয়ে বলে জানিয়েছেন ভারতের গম গবেষণা অধিদপ্তরের প্রধান জ্ঞানেন্দ্র প্রতাপ সিংহ। ইকোনোমিক টাইমসেকে তিনি বলেন এবছর ভারতে গম উৎপাদন ১১৫ মিলিয়ন টন ছাড়িয়ে যাবে। গত বছর উৎপাদন হয়েছিল ১০৭ মিলিয়ন টন। উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় সবচেয়ে বেশি গম উৎপাদন হয়েছে। মার্চের প্রথম সপ্তাহে ভারতের কৃষকরা মাঠ থেকে গম আহরণ শুরু করবেন। এ মৌসুমে ভারতের কোথাও গম ক্ষেতে পোকার আক্রমণের খবর পাওয়া যায়নি। অনুকূল আবহাওয়ায় এবার গমের উৎপাদনে রেকর্ড গড়া সম্ভব হয়েছে। ভারতের সরকার কৃষকদের নায্যমূল্য দিয়ে গম সংগ্রহ করার উদ্যোগ নিচ্ছে যাতে বাজারে এ শস্যের যোগান চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ রাখা সম্ভব হয়। গত দুই সপ্তাহে ভারতের বাজারে আটা ও ময়দা প্রস্তুতকারীরা তাদের পণ্যের মূল্য কমিয়েছেন ১২ শতাংশ। এবার বিশ^ব্যাপী খাদ্যশস্যের মূল্য গত ৬ বছরের মধ্যে উধ্বমূখী। জাতিসংঘের খাদ্য সংস্থা বলছে উচ্চ ফলনশীল শস্যের আবাদ ছাড়া বাজারে এধরনের ফসলের চাহিদা অনুযায়ী যোগানের ওপর যে চাপ থাকবে তা মোকাবেলা করা সম্ভব হবে না। একই সঙ্গে খাদ্য শস্য মূল্য নি¤œহারে রাখতে এর বিকল্প নেই। দিল্লি ভিত্তিক রাজধানি গ্রুপ বলছে দীর্ঘ মেয়াদে গমের দর আরো কমতে পারে। বিশেষ করে মে-জুন নাগাদ কৃষকরা বিভিন্ন ফসল ঘরে তুললে বাজারে খাদ্যশস্যের সরবরাহ বেড়ে যাবে।
ভারতে ২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে ধারাবাহিকভাবে গমের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতি বছর আগের বছরের চাইতে গম উৎপাদনে জমির পরিমান বাড়ছে ৩ শতাংশ হারে। এর পরিমান ৩৪.৬৩ মিলিয়ন হেক্টর। রুরাল অ্যান্ড কর্পোরেট সার্ভিস রিচার্সের পেরেনা দেশাই বলেন খাদ্যশস্য উৎপাদনে ভারতের রেকর্ড উৎপাদন রফতানির বাজারে আরো সক্ষমতা তৈরি করবে। এছাড়া ভারতের বাজারে খাদ্যশস্যের দরও স্থিতিশীল থাকবে। তবে হঠাৎ উষ্ণতা বৃদ্ধি বা বৃষ্টি হলে ফসল তোলার সময় গমের গুণগত মান হ্রাস পেতে পারে।