কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে সূর্যমুখী ফুল দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড়
মোহাম্মদ হোসেন : চট্টগ্রামের হাটহাজারী পৌরসভার পশ্চিম দেওয়ান নগর এলাকায় হাটহাজারী আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র তে প্রথমবারের মতো সূর্যমুখী চাষ করা হয়েছে। একসঙ্গে হাজার হাজার সূর্যমুখী ফুলের হাসির ঝিলিক দেখতে বিভিন্ন স্থান থেকে উৎসুক জনতা এসে ভিড় করছেন।
প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন আসছেন ফুল দেখতে। দূরদুরান্ত থেকে ছুটে আসা দর্শনার্থীরা জানান এমন সৌন্দর্যে মুগ্ধ তারা। চারদিকে বিস্তৃত ফসলের মাঠ। মাঝখানে সূর্যমুখী ফুলের বাগান। ফুটে আছে হাজার হাজার হলুদ বর্ণের সূর্যমুখী ফুল। সম্প্রতি এই দৃশ্যটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকেই দৃশ্যটি দেখেতে প্রাণ আকুপাকু করছে প্রকৃতি প্রেমীদের।
তানিয়া নামে এক দর্শনার্থী বলেন, ‘এতো সুন্দর দৃশ্য আগে কখনো দেখা হয়নি। তাই বন্ধুদের নিয়ে এসেছি’।
এদিকে, প্রতিদিন সূর্যমুখী ফুল দেখতে আসা দর্শনার্থীদের বিচরণে হুমকিতে পড়েছে বাগানটি। তাই বিপাকে পড়েছেন গবেষণা কর্তৃপক্ষ। দল বেধে আসা দর্শনার্থীরা ছবি তুলতে ঢুকে পড়ছেন বাগানের ভেতর। দর্শনার্থীদের অবাধ চলাফেরায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে গাছ ও ফুল। কেউ আবার ছিঁড়ে নিচ্ছেন ফুল, আবার কেউ উপড়ে নিচ্ছেন আস্ত গাছ।
প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোক্তাদির আলম বলেন, এই এলাকার মাটিতে সূর্যমুখী ফুল বাণিজ্যিকভাবে চাষ হতে পারে। অনেক কৃষক সূর্যমুখী চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এটি বাণিজ্যিক দিকে ভূমিকা রাখছে। অন্যদিকে, পরিবেশ ও প্রকৃতির সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করছে। ফুল দেখতে প্রতিদিন লোকজন এসে ভিড় জমাচ্ছেন।
হাটহাজারী আঞ্চলিক কৃষি গবেষণাগার এর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো.খলিলুর রহমান ভুইঁয়া বলেন,আমাদের এখানে প্রথম বারের মতো সূর্যমুখী চাষকরা হয়েছে। ১ একর জমিতে এই চাষ করা হয়। তিন মাস পর গাছে ফুল দেখা দেয়। গত কয়েক দিন থেকে সূর্যমুখী ফুল দেখতে দুর দুরান্ত থেকে লোকজন আসছে ছবি তুলছে একই সাথে মিডিয়া কর্মীরা নিউজ কভার করছে এইটা সৌভাগ্য বিষয়। সম্পাদনা : জেরিন আহমেদ